×

সারাদেশ

ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:১২ পিএম

ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন

আব্দুল্লাহ। ছবি: প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য-চারিগ্রামের আব্দুল্লাহ (২০) নামের কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের প্রবাসী আব্দুস সবুরের পুত্র। সে সিংগাইর ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

পরিবারের দাবি, কীটনাশক খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তার মৃত্যু রহস্যজনক। এ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছে।

নিহতের খালাত ভাই প্রতিবেশী মাসুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলে আব্দুল্লাহ বাড়িতে আসে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি সে বিষ পান করেছে। পরে তার ভগ্নিপতি সেলিমকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ওয়াশ করার পর ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে তাকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে বুধবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ইদুর মারার ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর কথা জানতে পারলেও মৃত্যুর মূল কারণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

প্রতিবেশী একাধিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আব্দুল্লাহ নম্র-ভদ্র স্বভাবের ছিলো। সে কোনো প্রকার নেশার সঙ্গে জড়িত ছিলো না। বিনা কারণে শুধু বিষপানে তার মৃত্যু হতে পারে না । তারা বলেন, আব্দুল্লাহ তার বাবার একমাত্র পুত্র সন্তান হওয়ার কারণে তার অর্থ সম্পদ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এলাকাবাসী এ মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি জানান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশকে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহতের একমাত্র ভগ্নিপতি সেলিম বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমার শ্যাালকের শুভ নামের জনৈক বন্ধু বিদেশ থেকে ফোন করে আব্দুল্লাহর খোঁজ নিতে বলেন। এ সময় আমি ওর কক্ষে গিয়ে বমি করতে দেখতে পাই। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার দাবি ইদুরের কীটনাশক খেয়ে আবদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনো কারন নেই বলে তিনি দাবি করেন।

একমাত্র পুত্রের মৃত্যু শোকে আব্দুল্লাহর মা অজ্ঞান থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

চারিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাজেদুল আলম তালুকদার স্বাধীন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে কেউ জানায় নি। আমি লোকমুখে শুনেছি মৃত্যুটি অস্বাভাবিক।

এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আমাকে এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App