×

খেলা

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিতে সাইফ স্পোর্টিং

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫০ পিএম

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিতে সাইফ স্পোর্টিং

মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এমানুয়েল আরিয়াচুকোর মধ্যে বল দখলের লড়াই

বাংলাদেশ ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে শনিবার টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলগুলো পায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে কোনো দল গোল তুলে নিতে পারেনি। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনো দল গোল করতে পারেনি। ফলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পেনাল্টি শটে ফয়সালা হয়।

দুই সেরা দলের এই ম্যাচটি পুরোটাই ছিল নাটকীয়তায় ভরা। ম্যাচের পর পেনাল্টি শটে গিয়েও হয় নাটকীয়তা। দুই দলই তাদের জন্য নির্ধারিত ৫টি শটের মধ্যে ১টি করে শট মিস করে। এরপর বিজয়ী দল পেতে আরো ৩টি করে শট করতে হয়। ফলে ২ দলই মোট ৮টি করে শট নেয়। তবে মোহামেডান তাদের অষ্টম শটটি মিস করে। সাইফ তাদের অষ্টম শটে গিয়ে গোল করতে সমর্থ হলে তারাই দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের সেমিতে জায়গা করে নেয়।

টাইব্রেকারে মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে, উরু নাগাতা, সোহাগ ও মিঠুন গোল করলেও পারেননি সজিব। তার নেয়া শট রুখে দেন সাইফের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। সাইফের কেনেথ শাহেদ, জন ওকোলি, এমানুয়েল গোল করলেও পারেননি ইয়াসিন আরাফাত। জাতীয় দলের এ ডিফেন্ডারের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

সাডেন ডেথে মোহামেডানের বুরকিনো ফাসোর মানজির, আমির হাকিম বাপ্পী গোল করলেও বাইরে মারেন ম্যাচের প্রথম গোলদাতা আতিকুজ্জামান। অন্যদিকে রহিমউদ্দিন, রহমত মিয়া ও সিরোজুদ্দিনের গোল সাইফের হয়ে বল জালে জড়াতে সমর্থ হন।

ম্যাচের ১ মিনিটের মাথায় আতিকুজ্জামান হেড থেকে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন। তবে ৬ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ডান প্রান্ত থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের নেয়া কর্নারে অরক্ষিত থাকা নাইজেরিয়ান এমানুয়েল ডান পায়ের প্লেসিংয়ে গোল করেন।

চার মিনিট পর উল্টো লিড নেয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেনের শট মোহামেডান সীমানায় উড়ে এলে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন হাবিবুর রহমান সোহাগ। নাইজেরিয়ান কেনেথ সুযোগ কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি। ৫২ সেকেন্ডে ১-০ তে এগিয়ে যাওয়া মোহামেডান ১০ মিনিটে ১-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে। পিছিয়ে পড়া মোহামেডান সমতায় ফিরেই বিরতিতে যায়। ৪৪ মিনিটে শাহেদ মিয়ার কর্নার থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে লাফ দিয়ে দুর্দান্ত হেডে গোল করে সমতায় ফেরায় মালির সোলায়মান দিয়াবাতে। সেটাই হয়ে থাকে ম্যাচের শেষ গোল।

অবশ্য ম্যাচের শেষ দিকে সাইফ স্পোর্টিং তাদের আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। শেষ দিকে তারা বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল হাতছাড়া করে। এ জন্য অবশ্য কৃতিত্ব দিতে হয় মোহামেডানের গোলরক্ষক বিপুকে। কারণ তার কারিশমাতেই টাইব্রেকারে গড়ায় খেলাটি। কিন্তু টাইব্রেকারে গিয়ে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App