×

শিক্ষা

মায়ের সঙ্গে ঝগড়া, অতঃপর অভিমান করে আত্মহত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২১, ১১:০০ পিএম

মায়ের সঙ্গে ঝগড়া, অতঃপর অভিমান করে আত্মহত্যা

ছবি: প্রতিনিধি

মায়ের প্রতি অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাবিহা সুহা। শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজ বাড়িতে মায়ের ঘরে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের প্রতিবেশী ও তার বিভাগের শিক্ষকদের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সুহা ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শেখ সেলিমের বড় কন্যা। সুহার মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই তার বাড়িতে ছুটে যান তার বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক মেহেদী হাসান ও শাহিদা আক্তার আশা।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে তার শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, তার খালার বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে বাড়িতে থাকা খালাতো বোনকে নিয়ে মায়ের সাথে প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হতো সুহার। সুহার অভিযোগ ছিল মা তাঁর থেকে তাঁর খালাতো বোনকে বেশি প্রাধান্য দিত। এসব নিয়ে সুহা ও তাঁর বাবার সাথে তাঁর মায়ের মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হতো। সর্বশেষ শুক্রবার তাঁর মা তাঁকে বকাঝকা ও মারধর করেন। ফলে তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কলহ ও মায়ের উপর অভিমান থেকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা প্রতিবেশীদের।

তিনি আরোও জানান, সুহার মা তাঁকে বকাঝকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ থেকে আত্মহত্যা করতে পারে বিষয়টি ভাবেননি তিনি।

এদিকে সুহার আত্মহত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুুতে শোক প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমান। এক শোকবার্তায় তারা নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। নিহতের সহপাঠীরা তার মৃত্যুর বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

তার সহপাঠী শিমুল হোসেন বলেন, সুহা একদম সাদাসিদে একটি মেয়ে। ও সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলত। আমরা তার প্রস্তান মেনে নিতে পারছি না।

বিভাগীয় সভাপতি ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হালিমা খাতুন বলেন, সুহা চলে যাবে আমি কখনও ভাবতেও পারিনি। মায়ের প্রতি অভিমান করে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন শুনলাম। এটা মেনে নেয়া যায় না। আমি দুইজন শিক্ষককে পাঠিয়েছি তার বাড়ি, তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনামাত্রই ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। স্যারের নির্দেশ মোতাবেক বিভাগীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থলে দুইজন শিক্ষককে পাঠিয়েছি। তারা পরিবারকে সহানুভূতি জানিয়েছেন, পাশাপাশি আমিও কথা বলার চেষ্টা করেছি।

রবিবার বাদ জোহর নিহতের বাড়ির সামনে ওয়াজের আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App