×

জাতীয়

সাঈদ খোকনের মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:২৩ পিএম

রাজধানীর দুই নম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্ম সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেছেন আদালত। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এই আদেশ দেন। পিবিআইকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে একই আদালতে মঙ্গলবার মামলাটির আবেদন করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা ছিল। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও মো. ওয়ালিদ। মামলার জন্য সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন দায়ী করেছেন বর্তমান মেয়র তাপসকে। তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দুলুকে দিয়ে এই নোংরামি করাচ্ছেন। এতে তার ও লের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সাঈ খোকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম সুমনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। মামলার আবেদনের অভিযোগে বলা হয়, আসামি সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশে স্থাপনা তৈরি করেন এবং দোকান বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এর পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান বরাদ্দ নেওয়ার জন্য ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার ও আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল মার্কেটে যাদের নামে দোকান বরাদ্দ রয়েছে তাদের মধ্যে কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ ভুল বুঝিয়ে এ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেন। সাঈদ খোকন, মাজেদসহ অন্যরা মিলে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এবং নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দেন। মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, দোকান বরাদ্দের আইনবহির্ভূত বিষয় জেনে মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন দুলু আসামিরে দোকান বরাদ্দ প্রক্রিয়া বন্ধ এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দিলে অভিযুক্তরা তাকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ইউসুফ আলী সরদার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ বাদী দেলোয়ারকে বনানীতে ডেকে হুমকি দিয়েছিলেন। তবে তিনি নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা করে সে সময় তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে সাহস পাননি। আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে বিনা রসিদে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন। ভুক্তভোগীরা সাঈদ খোকনের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ টাকা জমা দেন।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App