দরিদ্র ও পথশিশুদের শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসুন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৩৮ পিএম
ফাই্ল ছবি
বাড়ছে শীতের তীব্রতা, কাঁপছে অসহায় মানুষ। সারাদেশে শীতের ব্যাপক তীব্রতায় দেশের অসহায় দরিদ্র মানুষ ও পথশিশুরা চরম দুর্ভোগের শিকার। বিত্তবানদের কাছে শীতকাল আরামের মৌসুম হলেও অসহায় মানুষদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সমাজের কতিপয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা শীতের পিঠা ও চমৎকার সব খাবারে মুখরিত থাকলেও দিনমজুর দরিদ্র সাধারণ মানুষ পারেন না তাদের সন্তানদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে। বিত্তবানদের দামি লেপ-কম্বলের পরম উষ্ণতায় রাত কেটে গেলেও অনেক অসহায় পথশিশু কেবল একটা ছেঁড়া চাদরে পুরো শীতকাল কাটিয়ে দেন। স্বল্প আয়ের দরিদ্র বাবা কোনোমতে পরিবারের সদস্যদের খাদ্যের জোগান দেন। তবে দারিদ্র্যের পীড়াপতনে তাদের সামর্থ্য থাকে না লেপ-কম্বল কিংবা গরম কাপড় পরিধানের।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, শীতকালে কাজের সুযোগ অনেকাংশে কম থাকে। যার ফলে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ বাস করে। তাছাড়া বিবিএসের মতে, সার্বিকভাবে দেশের ৩ কোটি ৯৩ লাখ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। শীতকালে যা আরো বেড়ে প্রায় ৪৫ লাখ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। তারা আরো বলেন, এ সময়ে এলাকায় প্রতি ১০০ জনে ৩০ জনের বেশি দারিদ্র্য দেখা যায়। এছাড়া এবারের করোনা ক্রান্তিকালে অসহায় দরিদ্র দিনমজুর মানুষদের জুটছে না কাজের সন্ধান। যার কারণে পরিবারের সদস্যরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এমতাবস্থায় সামর্থ্যবানদের উচিত অসহায় দরিদ্র মানুষ ও দুর্ভাগা পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো। আপনার একটু আর্থিক সহায়তায় একটু হলেও লাঘব হবে তাদের শীতের কষ্ট। জেগে উঠুক মানবতা, বাঁচুক আমার সোনার দেশের সোনার মানুষ!
রংপুর, কেরানীরহাট।
[email protected]