×

সারাদেশ

পঞ্চগড়ে হাইকোর্টকে অমান্য করে খাস জমির গাছ কেটে সাবাড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:০৮ পিএম

পঞ্চগড়ে হাইকোর্টকে অমান্য করে খাস জমির গাছ কেটে সাবাড়

কেটে ফেলা হচ্ছে সরকারি গাছ

পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা অমান্য করে খাস জমির গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঞ্চগড় সদর থানায় একটি চিঠি দিয়েছেন।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২১ আগস্ট অমরখানা ইউনিয়নের মধুপাড়া মৌজায় ৫১৯ নং দাগের ১৪.৮৩ একর জমি খাস ঘোষণা করা হয়। উক্ত খাস জমি নিয়ে সোনারবান অমরখানা এলাকার তালমাবস্তি গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক উদ্দীনের ছেলে রোস্তম আলী সরকারকে বিবাদী করে পঞ্চগড় সিনিয়র জজ আদালতে একটি মামলা করে। ২০০২ সালের ২৬ আগষ্ট মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তিতে বাদীপক্ষ একটি ছানী মামলা করলে ২০০৩ সালের ৭ জানুয়ারী আদালত মামলাটি নামঞ্জুর করেন।

এরপর বাদীপক্ষ পঞ্চগড় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আরও একটি ছানী মামলা করলে ২০০৩ সালের ৭ জানুয়ারী তারিখের আদেশ এতদ্বারা বহাল করা হয়। ওই খাস জমিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘মুজিব বর্ষে’ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে রোস্তম আলীর ছেলে মানিক শাহ একটি মামলা করলে হাইকোর্ট ডিভিশন বিভাগ গত ১৭ ডিসেম্বর ছয় মাসের স্থিতিবস্থা বা স্ট্যাটাস-কো প্রদান করেন। এই স্থিতিবস্থা থাকা অবস্থায় রোস্তম আলীর স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন ও ছেলে মানিক শাহ ওই খাস জমিতে অবস্থিত কাঁঠাল গাছসহ অন্যান্য প্রজাতির গাছ কাটা শুরু করে। সোমবার তারা কেটেছে ৬টি গাছ। হাইকোর্ট ডিভিশনের গত ১৭ ডিসেম্বরের স্থিতিবস্থা বা স্ট্যাটাস-কো অমান্যসহ সরকারি স্বার্থ বিনষ্ট করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো আমিনুল ইসলাম পঞ্চগড় সদর থানায় একটি চিঠি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা থাকা অবস্থায় খাস জমির গাছ কাটার খবর পেয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পঞ্চগড় থানায় একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আক্কাস আহমেদ জানান, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এর নিকট হতে একটি চিঠি পেয়েছি। আমরা দ্রুতই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App