গদি ছাড়ার আগে চীনকে বড় ধাক্কা ট্রাম্পের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৪০ পিএম
কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক বিলটি পাস করে। সেই বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে করে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে পরবর্তী দলাই লামার নির্বাচনে বেইজিংয়ের প্রভাব অনেকটাই খর্ব করে দিলেন তিনি।
রবিবার সাক্ষর করা এই নয়া আইনে সাফ বলা হয়েছে, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচন করতে চীন বা অন্য কোনও দেশের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই তিব্বতীদের। নিজেদের পছন্দ মতো ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তারা।
১৯৫৯ সালে দলবল নিয়ে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪তম দলাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি। কিন্তু বর্তমান দলাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে চীন। কমিউনিস্ট দেশটির অভিযোগ, তিব্বতকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। এনিয়ে বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে চাপানউতোর রয়েছে। ভারতে কমপক্ষে এক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ।
এই আইনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চীনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে চীনকে। দলাই লামা বাছার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের মতামত গুরুত্বহীন। তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যেতে পারবেন।