বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ১-০ গোলে বাংলাদেশ পুলিশ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে। ‘এ’ গ্রুপের এ ম্যাচে শেখ রাসেলের পক্ষে জয় সূচক গোলটি করেন তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ।

২০১২ সালের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড়রা গত কাল বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ অবচয় না করলে ম্যাচের ফলাফল আরো বড় হতে পারতো। পাকের আলীর শিষ্যরা সুযোগ যে পায়নি তা কিন্তু নয়। তারাও বেশ কয়েকবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের গোলসীমানায় হানা দিয়েছে। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি। প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও সাইফুল বারী টিটুর দলের আক্রমণে ছিল না ধার। লেফট উইং দিয়ে তকলিস আহমেদ ছিলেন ছায়া হয়ে। তুলনায় রাইট উইং ধরে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওবি মোনেকে ছোটাছুটি করেছেন, কিন্তু ছিলেন না কার্যকরী। কদিন আগে যোগ দেওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জিয়ানকার্লো লোপেজ রদ্রিগেজের শরীরী ভাষায় ছিল মানিয়ে নিতে না পারার ছাপ।

শুরু থেকে গোছালো ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে পাকির আলীর বাংলাদেশ পুলিশ দল। কিন্তু রাসেলের সীমানায় গিয়েই শেষ হয় তাদের সব প্রচেষ্টা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে তাদের প্রথম ম্যাচেই হারাতে হয়েছে ৩ পয়েন্ট।

গতবার গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া শেখ রাসেল প্রথম সুযোগ পায় ২৫ মিনিটে। কিন্তু ইয়ামিন আহমেদের কাটব্যাকে ভারসাম্য হারিয়ে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি মোনেকে। সাত মিনিট পর মোনেকের ক্রসে তকলিসের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে যায়।

কিছুটা গুছিয়ে ওঠা পুলিশ প্রথমার্ধের শেষ দিকে সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু আশরাফুল ইসলাম রানার দেয়াল টপকাতে পারেনি। ৪১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মুরোলিমজন আখমেদভের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ফেরান গোলরক্ষক। এরপর কিরগিজস্তানের এই মিডফিল্ডারের বাঁকানো কর্নার শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে দলের ত্রাতা রানা।

প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। বক্সের মাথা থেকে কিরগিজস্তানের বখতিয়ারের নেয়া ফ্রিকিকে দারুণ ফিনিশিং তাজিক ডিফেন্ডার আসরোরভ। ঐ গোলের লিড ধরে রেখেই সাইফুল বারী টিটুর দল মাঠ ছাড়ে স্বস্তি নিয়ে। আইভরি কোস্টের ৩ ও কিরগিজস্তানের ১ ফুটবলার দিয়ে সাজানো ছিল পুলিশের একাদশ। রাসেলের ছিল ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, তাজিকিস্তান ও কিরগিজস্তানের ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত কিরগিজ-তাজিক রসায়নেই বাজিমাত করে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় গত আসরে সেমি-ফাইনাল খেলা পুলিশের। আখমেদভ গোলমুখে বল বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু কোত দি ভোয়ার ফরোয়ার্ড বাল্লো ফামুসা পা ছোঁয়াতেই পারেননি।

৭৬তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে পুলিশের এমএস বাবলু ফাউলের শিকার হন। ফামুসার ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালে বাধা পাওয়ার পর কোত দি ভোয়ার এই ফরোয়ার্ডের ফিরতি বুলেট গতির শট উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত কষ্টার্জিত নিয়ে মাঠে ছাড়ে সাইফুলবারীর শিষ্যরা।