×

সারাদেশ

তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গণে চরফ্যাশনের ন্যাংলাপাতা গ্রাম!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:৫৯ পিএম

তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গণে চরফ্যাশনের ন্যাংলাপাতা গ্রাম!

চরফ্যাশনে ভাঙন

তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গণে চরফ্যাশনের ন্যাংলাপাতা গ্রাম!

মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী বেষ্টিত ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের তেঁতুলিয়া ও শাখা নদী মায়ার কোল ঘেঁষা গ্রাম ন্যাংলাপাতা। ন্যাংলাপাতা গ্রামসহ জনবসতীপূর্ণ এলাকা চর কলমী ইউনিয়নের তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গণে বিলিনের পথে রয়েছে শত,শত হ্যাক্টর ফসলী জমীসহ বসত বাড়ি। এছাড়াও মায়া নদীর জোয়ারের পানিতেও শত,শত হ্যাক্টর জমীর বোরো ধান ও ইরি ধানের ফসল লবনাক্ত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও চাষাবাদে আগ্রহ হাড়িয়ে দেশের ফসল উৎপাদনের অবদানে ব্যর্থ হচ্ছে। স্থানিয় বাসিন্দা খিজির আহমেদ জানান, তিনি দির্ঘ ৬০ বছর যাবত পরিবার নিয়ে ন্যাংলাপাতা গ্রামে বসবাস করছেন। তেতুলিয়ার ভাঙ্গণে ফসলি জমিসহ বসত বাড়ি এখন ভাঙ্গণের হুমকিতে রয়েছে।

স্থানিয় বাসিন্দা মাহফুজ পরস বলেন, ন্যাংলাপাতা গ্রাম সংলগ্ন খালের অপর পাশেই বকশী লঞ্চঘাঠ এলাকা থেকে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর তীর প্রতিরক্ষায় ৩.২০০ কিঃমিঃ ও বাঁধের ঢাল প্রতিরক্ষায় সিসি ব্লক দ্বারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং ড্রেজিংসহ চর কুকরি-মুকিরি দ্বীপের বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ১১টি প্যাকেজের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা একই ইউনিয়নের ন্যাংলা পাতা গ্রাম সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় ওই অঞ্চলের মানুষ সুবিধা ভোগ করবে। অপরদিকে ওই বাঁধ সংলগ্ন ন্যাংলাপাতা গ্রামের অনেক বাসিন্দা তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গণে সহায় সম্বল হাড়াচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৪ ও ২০০৫ সালের অর্থ বছরে চর কলমী মায়া নদীর বাঁম তীরে ১কিঃমিঃ স্বল্প উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় ওই বাঁধটি আবার ভাঙ্গণের ফলে বাঁধটি দিয়ে প্রতিদিনের জোয়ারের পানিতে সংলগ্ন অঞ্চল তলীয়ে যাচ্ছে।

এদিকে প্রায় ২শত কোটি টাকা ব্যয়ে ফসলী জমিতে লবনাক্ত পানি রোধ ও জনবসতীপূর্ণ বকসী,আঞ্জুরহাট ও বাবুরহাট,নজরুল নগর এলাকার হাজার,হাজার মানুষকে নদী ভাঙ্গণের ঝুঁকি মুক্ত করতেই ড্রেজিং ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের ১১টি প্যাকেজের ৩টির কাজ শেষ হলেও বাকি প্যাকেজগুলোর বøক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২২সালের মধ্যে ওই প্রকল্পের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানা গেছে।

স্থানিয়রা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে চর-কলমী ইউনিনের চর নাংলাপাতা গ্রামে তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গণ ও মায়া নদী সংলগ্ন অঞ্চলের ফসলী জমীতে লবনাক্ত জোয়ারের পানি রোধে মায়া নদীর বাঁম তীরসহ তেঁতুলিয়ার ন্যাংলাপাতা গ্রামের তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধ মোরামতসহ ওই অঞ্চলের জোয়ারের লবনাক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেইনেজ/স্লুইসগেট নির্মাণ করা জরুরী। অন্যথায় সাধারণ জনগণের কোটি কোটি টাকার ফসলি জমি নষ্ট হবে।

ভোলা পানি উন্নয়নবোর্ড-২ চরফ্যাশন এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, চর-মানিকা,চর-মনোহর,সিকদারের চর,চর-মালা,চর কচুখালীসহ মায়া নদীর উভয় পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং সেঁচের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। এছাড়াও খুব দ্রুত ন্যাংলাপতা গ্রামের ভাঙ্গণের বিষয়টি নিয়েও ভাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App