×

বিনোদন

একজন কিংবদন্তির শোকগাঁথা প্রথম জন্মদিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:২৫ পিএম

একজন কিংবদন্তির শোকগাঁথা প্রথম জন্মদিন

আলাউদ্দিন আলী

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে এবছরই ৯ আগস্ট পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। সে শোক এখনো কাটেনি। বাংলাদেশের সংগীতে জীবন্ত কিংবদন্তি আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন আজ। সংগীতের এই অমূল্য সম্পদের বিদায়ের পর এই তার প্রথম শোকগাঁথা জন্মদিন। তবে জন্মদিনে তার প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বলে দিচ্ছে, কিংবদন্তিরা চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হয় না।

১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সংগীতে শিক্ষা নেন।

ওস্তাদ সাদেক আলী তাকে বেহালায় দীক্ষা দেন। এরপর বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বেহালা বাজাতে গিয়ে সংগীত পরিচালনার উপর আগ্রহ সৃষ্টি হয় এই সংগীত পরিচালকের। ১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে জীবনে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।

তারপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত কাজ করলে একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি। এর আগে ১৯৬৮ সালের দিকে তিনি আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যন্ত্রসংগীত শিল্পী হয়ে কাজ করেন। এরপর প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।

আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সালে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য সংগীত পরিচালনা করেছেন।

সব মিলিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে গান করেছেন আলাউদ্দীন আলী। সংগীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে মোট ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননা ও স্বীকৃতিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App