×

অর্থনীতি

মোটরসাইকেল শিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা তৈরি করবে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৪১ পিএম

মোটরসাইকেল শিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা তৈরি করবে সরকার

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য শিল্পায়নের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন শিল্পসচিব কে এম আলী আজম। তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ শিল্পকে ২০২০ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পের নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন এবং সহায়তা করতে চায় সরকার। তিনি বলেন, দেশের শিল্প খাতের বিকাশে সরকারের এ ঘোষণা ও বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

বুধবার ‘হালকা প্রকৌশল শিল্প: মোটরসাইকেল শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নয়ন প্রেক্ষিত’ ওয়েবিনারের আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্পসচিব কে এম আলী আজম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি ও আইসিটি) সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া এবং বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি’র সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোটরসাইকেল ম্যানফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাফিজুর রহমান খান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে বিটাক-এর পরিচালক ড. সৈয়দ এহসানুল করিম বলেন, দেশে ২১শ’ কোটি টাকার মোটরসাইকেলের বাজারের মধ্যে দেশীয় শিল্পের দখলে মাত্র ২০ কোটি টাকার বাজার। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে মাত্র ৫ থেকে ৭ বছরে ২১শ’ কোটি টাকার পুরোটাই দেশীয় শিল্পের দখলে আনা সম্ভব।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে উদীয়মান বৃহৎ শিল্পসমূহের মধ্যে মোটরসাইকেল অন্যতম। দেশে ৭টি স্থানীয় ও ৮টি আন্তর্জাতিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও সংযোজনকারী শিল্প রয়েছে। এ শিল্পের বার্ষিক উৎপাদন আনুমানিক ৪ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট, যা মোট চাহিদার ৮০%। এ শিল্পের উন্নয়নে ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এখনো এ শিল্পের অধিকাংশ উপকরণ যেমন- মোটরসাইকেল চেসিস, চাকা, হ্যান্ডেল বার, ব্রেক সিস্টেম, ফুয়েল ট্যাংক, প্লাস্টিকের পণ্য (মাড গার্ড, ফেন্ডার, সাইড কভার) ইত্যাদি বিদেশ থেকে আমাদনি করতে হয়। দেশীয়ভাবে এসব উপকরণ উৎপাদন সম্ভব হলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও বিপণন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App