×

বিনোদন

অভিনেত্রী-নির্মাতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:১৪ পিএম

অভিনেত্রী-নির্মাতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অভিনেত্রী-নির্মাতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী।

ওয়েব কনটেন্টের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী। পরে শুটিংয়ে গিয়ে দেখেন, সেটি সিনেমা। নির্মাতার কথা ও কাজের অমিল পাওয়ায় শুটিং স্পট থেকে ফিরে গেছেন এই অভিনেত্রী। প্রতিক্রিয়ায় নির্মাতা বলেন, ইচ্ছেকৃতভাবে তাকে ফাঁসিয়েছেন শশী। শশীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

জানা যায়, এক ঘণ্টার নাটকের চিত্রনাট্য হাতে পেয়েছিলেন শশী। পরে সেই নাটকের নির্মাতা জানান, নাটক, তবে তিনি সেটি বানাতে চান ওয়েবের জন্য। নির্মাতার আগ্রহ এবং গল্পটি পছন্দ হয়েছিল বলে আপত্তি করেননি শশী। সময় মতো শুটিংও শুরু করেছিলেন। তবে তিনটি দৃশ্যের শুটিং শেষে তিনি জানতে পারেন, এটি না এক ঘণ্টার নাটক, না কেবলই ওয়েব কনটেন্ট। তিনি একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।

শশী বলেন, প্রথমে নির্মাতা দুই দিনের শিডিউল নিয়েছিলেন। পরে পরিকল্পনা বদলে দিতে হলো সাত দিনের শিডিউল। পারিশ্রমিক নিয়েও কথা হয় আমাদের। শুটিংয়ে গিয়ে কো-আর্টিস্টদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, তাঁরা সবাই ফিল্মের শিল্পী হিসেবেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ সাইনিং মানিও পেয়েছেন। তখন আমার খটকা লাগে। পরে জানতে পারলাম ভুল তথ্য দিয়ে তাঁরা আমাকে দিয়ে ফিল্মে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। তখন আমি কাজটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই।

শশীর প্রথম ছবি ‘হাজার বছর ধরে’। প্রায় দেড় দশক আগে মুক্তি পেয়েছিল সেটি। জহির রায়হানের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি মুক্তির পর টুনি চরিত্রের কিশোরী শশী প্রশংসিত হন। তবে এরপর থেকে আর কোনো ছবিটিতে দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে।

অভিনেত্রী বলেন, আমি তো হুট করে কোনো ছবিতে অভিনয় করব না। সিনেমা নিয়ে আমার একটা আলাদা ভিশন আছে। আমি গল্প, চরিত্র দেখব, চুক্তিপত্রে সাইন করব, সাইনিং মানি নেব। আমি গল্প নিয়ে ভাবব, কী কস্টিউম হবে সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করব। সবকিছু সিস্টেমেটিকভাবে হবে। এত সহজে তো একটা ফিল্ম হয় না। তাঁরা ভেবেছিলেন শশী আপা অনেক দিন কোনো ছবি করে না, মনে হয় সিনেমার কথা শুনে খুশি হয়ে যাবে। কিন্তু আমি যে বেঁকে বসতে পারি, সেটা তাঁরা বুঝতে পারেননি।

নির্মাতা সোলায়মান জুয়েল জানান, তাঁরা যে ছবিটি নিয়ে কাজ করছিলেন, সেটার নাম ‘ছায়াবাজি’। এটি যে সিনেমা, সেটা আগে থেকেই এই অভিনেত্রীকে তাঁরা জানিয়েছিলেন।

নির্মাতা বলেন, শশী আমার এই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের চিত্রনাট্য পড়ে সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় পড়েছেন। তিনি কী বলছেন, সেটা বুঝতে পারছেন না। ছবিটির বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আগে থেকে কথা হয়েছে। তাঁর কথায় ছবিটি থেকে মৌসুমী হামিদকে বাদ দিতে হয়েছে। আমার মনে হয় তিনি মৌসুমী হামিদের অভিনয়কে ভয় পাচ্ছেন। মনে করছেন মৌসুমী তাঁর চরিত্রটাকে খেয়ে ফেলবেন। চলচ্চিত্রে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।’

নির্মাতার দাবি, অভিনেত্রী শশীর আচরণ অসহযোগিতামূলক। তিনি ইচ্ছা করে ফাঁসিয়েছেন।

এদিকে শশী বলেন, ক্ষতিপূরণ আমি দেব কোত্থেকে? তারা যদি আমাকে জানিয়ে, চুক্তি করে সিনেমার শুটিং করতেন, আমি যদি জেনে-বুঝে শুটিং থেকে চলে আসতাম, তখন আমি অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতাম। কিন্তু এখানে আমার দায় নেই। আমাকে ভুল বুঝিয়ে কাজে জড়ানো হয়েছে। বরং আমার পারিশ্রমিক তাঁদের দেওয়া উচিত। চলচ্চিত্রে আমার একটা ভাবমূর্তি আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App