×

সারাদেশ

রোগীকে ভুয়া সনদ দিলেন ডাক্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৩৮ পিএম

রোগীকে ভুয়া সনদ দিলেন ডাক্তার

ছবি: প্রতিনিধি

নেত্রকোণার মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও ভুয়া সনদ দেয়ায় অভিযোগ করেন ফজলুল হক নামের এক ভুক্তভোগী রোগী। সুবিচার পাওয়ার জন্য সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন তিনি।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের কুলিয়াটি (নছিরপুর) গ্রামের মৃত মহরাজ আলী আকন্দের ছেলে ফজলুল হক দীর্ঘদিন ধরে মদন বাজারের নিজ বাসায় বসবাস করে আসছেন। ৩০ অক্টোবর প্রতিবেশী শফিক, রফিকসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন তার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তিনি গুরুতর আহত হয়ে ওই দিন দুপুরেই মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ১৭ নভেম্বর চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় ছাড়পত্র ও ভর্তির কাগজপত্র নিয়ে দেখেন ৩০ অক্টোবরের পরিবর্তে ৩১ অক্টোবর লেখা রয়েছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, মামলায় যাতে সুবিচার না পায় তার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতালের অসাধু ডাক্তারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে মাথায় জখমী রোগীর ডাক্তারি সনদে ৩২৩ উল্লেখ করেছেন। অথছ প্রতিপক্ষের লোকজন কোনো রকম আঘাত না পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অসাধু ডাক্তারের সহযোগিতায় ৩২৫ ডাক্তারি সনদ নিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তির রেজিষ্টার খাতায় প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত ফজলুল হক ৩০ অক্টোবর ভর্তি হয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু মামলার জন্য হাসপাতাল থেকে যে ভর্তির সনদ, ছাড়পত্র ও জখমের সনদ দেয়া হয়েছে এতে ৩০ অক্টোবর এর স্থলে ৩১ অক্টোবর লিখা হয়েছে। এমন জালিয়াতির সঠিক তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

জখমী ফজলুল হকের স্ত্রী শামীমা আক্তার জানান, আমার স্বামী মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা করিয়েছি। এখনো আমার স্বামী সুস্থ হয়নি। হাসপাতালের অসাধু ডাক্তার আমার স্বামীর প্রকৃত আঘাতের ঘটনাকে প্রতিহত করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভর্তি ছাড়পত্র ও সনদের তারিখ পরিবর্তন করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেছে। আমি এর সুবিচার চাই।

এ ব্যাপারে মদন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মুহাম্মদ হাসানুল হোসেন জানান, ফজলুল হক নামের এক রোগী অভিযোগ করায় ভর্তি ও ছাড়পত্রে তারিখ সংশোধন করে দিয়েছি। হয় তো ভুলবশত এমনটি হয়েছিল। এরপরও তাদের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করবো।

নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডাক্তার সেলিম মিয়া জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App