স্বাধীনতার অর্জন আমাদের পরিচয় দিয়েছে, আত্মসম্মান দিয়েছে। দীর্ঘ হাজার বছর অপমান থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিয়েছে। এই অর্জনের মহানায়ক আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং লাখও নায়ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশমনে সদস্য ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের নানা ত্যাগের মাধ্যমে নিজের ভূমি আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। স্বাধীনতা অর্জন অনেকেই করে, যেমন ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে আলোচনার মাধ্যমে। ভারত বহিরাগত দখলদারদের তাড়িয়েছে। কিন্তু আমরা আইনিভাবে স্ব ভূমিতে নিজে বিতারিত ছিলাম এবং সেখান থেকে বেড়িয়ে পুনরুদ্ধার করেছি নিজেদের ভূমি। স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। যেসমস্ত শহীদরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছে তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমাদের সবাইকে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। আমাদের সকলের সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব আছে। আমরা যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা রাজনীতি করি, আমাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্র অত্যান্ত পরিস্কার। বাড়িয়ে গিয়ে করার কোন প্রয়োজন নেই। চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। মান্নান বলেন, দেশের বর্তমান ভাস্কর্যের বিরোধিতার প্রসঙ্গে এখানে কিছু কথা এসেছে। বিষয়টি নিয়ে পুরো জাতিই চিন্তিত। সেজন্য এটা আবার বলতে হয়, মতভেদ থাকবে, চিন্তার পার্থক্য থাকবে সেটাই তো মূল মানুষের উজ্জিবনের প্রধান শক্তি। সেটা সকল মতে-পথেই আছে। কিন্তু আলোচনার পরে সমাধান না হলে আমি চাপিয়ে দিবো, না এটা মানতেই হবে, এটা সঠিক নয়। আপনার খাবার আপনি খাবেন, আপনার লেবাস আপনি পড়বেন এগুলো আপনার একান্ত নিজ দায়িত্ব। কিছু মানবিক বিষয় আছে যেখানে সবাই ঐক্যমত পোষণ করে। তার মানে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়াটা সঠিক নয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা পরিকল্পনা কমিশন ও মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যতম বৃহৎ অংশ। আমরা একটি টিমের অংশ। খেলোয়ার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বল পাস করা। যে বল আমাদের কাছে আসবে সেটা পুনরায় অন্যত্রে পাঠিয়ে দেয়া। এটা আমাদের সময় মতো পালন করতে হবে। দেশের রূপরেখা তৈরিতে আমাদের ভূমিকা আছে, মূল্যায়নেও ভূমিকা আছে, সার্বিকভাবে এমনকি রূপরেখা তৈরির জন্য যা যা লাগে সেটাও আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো করে থাকে। জিইডিতে সেটা প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে। প্রোগ্রামিংয়ে সেটা সার্ভিসিং করা হচ্ছে, আইএমইডি পরবর্তী প্রক্রিয়া দেখছে। সুতরাং আমরা সর্বত্র আছি, এই দায়িত্ব আমাদের সারাক্ষণ মনে রাখা প্রয়োজন।