×

জাতীয়

জামিনে বেরিয়েই আবার জাল টাকার কারখানা খুলে তারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৪৯ পিএম

জামিনে বেরিয়েই আবার জাল টাকার কারখানা খুলে তারা

উদ্ধারকৃত জাল টাকা ও রুপি

জামিনে বেরিয়েই আবার জাল টাকার কারখানা খুলে তারা
জামিনে বেরিয়েই আবার জাল টাকার কারখানা খুলে তারা

জামিনে বের হয়েও জাল নোটের কারবারে জড়ায় গ্রেপ্তারকৃতরা। আসন্ন ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে জাল নোটের কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি, ৩২ লাখ দেশি জাল টাকা, মোবাইল ফোনসেট, জাল টাকা-রুপি তৈরির বিশেষ ধরনের কাগজ, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের রং, কেমিক্যাল, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন, কাটার, বিভিন্ন রকমের ডাইস পাওয়া গেছে। যা দিয়ে আরো কয়েক কোটি জাল টাকা ও রুপি তৈরি করা সম্ভব। দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলা বাজার, বিপনী বিতান, যানবাহনের চালক ও হেলপারদেরকে বিভিন্ন কৌশলে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করে থাকে এ চক্রেুর সদস্যরা। জালনোট তৈরী চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান উপকমিশনার মশিউর রহমান।

উপকমিশনার (ডিসি) বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন- জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল খান, মালেক ফরাজী, জসিম উদ্দিন, শিহাব, ওবায়দুল, সাগর ও জামাল। তিনি আরো বলেন, এ চক্রের বিভিন্ন সদস্য বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে থেকে জাল টাকা তৈরি করতেন। আসন্ন ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে জাল রুপি ও টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জুরাইন এলাকার শহীদ শাহাদত হোসেন রোড এলাকার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এ কাজ করছিল তারা। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রায় সকলের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। জামিনে থেকেও বেশি টাকা উপার্জনের লোভে তারা বারেবারে জাল টাকা ও রুপি উৎপাদন করছিল। গ্রেপ্তার জাকির গত বছর অপর সহযোগী ও স্ত্রীসহ ডেমরা থানা গ্রেপ্তার হয়েছিল।

ডিসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকির একজন কুখ্যাত ফিনিশার, হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার। জাল টাকা ও রুপি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী একজন কারবারি। ওবায়দুল ও জসিম এ জাল টাকা তৈরির কারখানায় বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরি ও অন্য কাজ করতেন। বাদল ঢাকা, সাভার ও মানিকগঞ্জের পাইকারি ডিলার। শিহাব রাজধানীর পাইকারি ডিলার। সাগর নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে ডিলার। বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলে জালনোট সরবরাহকারীদের মূল হোতা জামাল। এদের আছে এক শক্ত নেটওয়ার্ক যাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলা বাজার, বিপনী বিতান, যানবাহনের ড্রাইভার ও হেলপারদেরকে বিভিন্ন কৌশলে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করে। উদ্ধারকৃত জাল টাকার মধ্যে ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের ও জাল রুপি গুলির মধ্যে ৫০০ রুপির জাল নোট রয়েছে। গুলশান বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের এসি মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র কে অনুসরণ করছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। চক্রটির নেটওয়ার্ক আবিষ্কারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App