×

সারাদেশ

হাতিয়ার মেঘনায় ট্রলারডুবি, এখনো নিখোঁজ ৮

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:১৪ পিএম

হাতিয়ার মেঘনায় ট্রলারডুবি, এখনো নিখোঁজ ৮

ছবি- ভোরের কাগজ প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বর-কনেসহ ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো ৮জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।

বুধবার সকাল ১১টায় নৌ-পুলিশের বরাত দিয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইউএনও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নববধু, নারী ও শিশুসহ ৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো ৮জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজরা হলেন, জাকিয়া বেগম (৫৫), মো.হাছান (৭), নার্গিস আক্তার (৪), হালিমা (৪), লামিয়া (৩), নিহা (১), আমির হোসেন ও আলিফ।

ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতরা হলেন- হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের থানার হাট এলাকার ইব্রাহীম সওদাগরের মেয়ে নববধু তাছলিমা (১৮), হরণী ইউনিয়নের মোহম্মদপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে আসমা বেগম (১৯), সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার লামিয়া (৯), একই এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে লিলি আক্তার( ৮), নলেরচরের কালাদুর গ্রামের ফয়জ্জুল্লার মেয়ে হোসনে আরা বেগম (৮), চানন্দী ইউনিয়নের পূর্ব আজিম নগর গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০), একই এলাকার খোরশেদ আলমের স্ত্রী নুরজাহান (৬৫)।

নিহত নববধুর পিতা ইব্রাহীম সওদাগর জানায়, হাতিয়ার ডালচরে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটলেও প্রবল স্রোতে ৫টি লাশ ভেসে যায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে। জেলেরা নদীতে ভাসমান লাশগুলো ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধার করে টাংকির ঘাটে নিয়ে আসে। পরে তারা রামগতি থানা পুলিশকে খবর দেয়। অপরদিকে ২টি লাশ পাওয়া যায় চানন্দি ঘাটে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর অনেকে সাঁতার কেটে ও অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে উঠতে সক্ষম হলেও শিশুসহ ৮জন নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরো জানান, তার মেয়ে তাছলিমার সাথে হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মিস্ত্রির ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিবাহ হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়ীতে নেওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্লাহ জানান, গতকাল দুর্ঘটনার পরপরই হাতিয়ার নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে নামে। তবে সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধার অভিযান থেমে যায়। বুধবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করে হাতিয়ার ডালচরে রাখা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইমরান হোসেন বলেন, নিহত ৭ জনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্বান্ত হয়েছে। এছাড়া আরও মৃতদেহ পাওয়া গেলে তাদেরকেও অনুরুপভাবে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। পুলিশ রাতেই তাদের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App