তিন রমণীর মুখ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৫২ পিএম
মধ্য ডিসেম্বর,
প্রচণ্ড শীত হাড্ডি মাংসের সাথে অন্তরাত্মাতেও অনুরণন তুলে চলেছে।
দুধসাদা বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে আছে মস্কো নগরী!
সতীর্থদের সাথে নগর দেখতে বেরিয়েছি
নগর কেন্দ্রে আসতে দেখে এলাম;
সুবিখ্যাত রেড স্কোরার, ক্রেমলিন, সেন্ট ব্রসিল ক্যাথিড্রাল, আলেকজান্ডার গার্ডেন এবং মস্কো নদী!
চাক চাক কষ্টের বরফ ভাসিয়ে নিয়ে ক্লান্তিহীন বয়ে চলা নদী!
সপ্তান্তের ছুটির রাতে নগরের প্রতিটি পানশালা, নৈশক্লাব, সরাইখানা, কানায় কানায় পরিপূর্ণ!
নৈশ প্রমেদে জেগে উঠেছে ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া নাগরিক জীবন!
হিমাঙ্কের চল্লিশ ডিগ্রি নিচের তাপমাত্রায় শরীর চাঙ্গা রাখতে ভদকার জুড়ি মেলা ভার।
ইতিমধ্যে বন্ধুদের দুএকজন ভদকার রঙিন জগতে অনুপ্রবেশ করে ফেলেছেন
নৈশ ক্লাবের নগ্ন প্রমোদ যুবতীগণ ডান্স টেবিলে কামউত্তেজক নৃত্য পরিবেশনে ব্যস্ত!
যুবক যুবতীরা মেটালিক রক মিউজিকের- হৃৎপিণ্ডে ঘা পড়া বিটের তালে তালে নৃত্য মেতে উঠেছে!
আমাকে টানছে না তার কিছুই!
নদীর পাশে এলেই হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসে তপ্ত বোবা দীর্ঘশ্বাস!
ভুলে যাই পারিপার্শ্বিকতা!
উছলে উঠে লবণের স্রোতধারা!
উপরন্তু বিজয়ের মাস!
চোখের কোণে তৎক্ষণাৎ ভেসে উঠে প্রিয় কিছু মুখাবয়ব!
তার প্রথমটি;
এক সমুদ্র পবিত্র রক্তে স্নান করা ষোলই ডিসেম্বরের সূর্য দেখা বাংলা মা এর হাসিমাখা মুখ,
দ্বিতীয় মুখটি;
আমার প্রিয় স্নেহময়ী মা!
তৃতীয় এবং শেষ মুখটি;
আমার প্রতিশ্রæতির বিশ্বাসে জেগে থাকা নির্ঘুম প্রিয়ার মুখ!