×

আন্তর্জাতিক

উইঘুর নির্যাতনে চীনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না আন্তর্জাতিক আদালত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৪৪ পিএম

উইঘুর নির্যাতনে চীনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না আন্তর্জাতিক আদালত

ছবি ইন্টারনেট

চীনের বিরুদ্ধে আনা উইঘুর মুসলিমদের ওপর চালানো গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। সোমবার আদালতের প্রধান আইনজীবীর অফিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে চীনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগে তারা উল্লেখ করে, চীনে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমসহ অন্যদের বন্দী করে স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এসব অভিযোগের পক্ষে প্রমাণও জমা দিয়েছে তারা। তবে আইসিসির আইনজীবী ফাতো বিনসুদা বলেন, ‘এই অভিযোগ নিয়ে তারা কাজ করতে পারবে না, কারণ অভিযোগে উল্লেখ করা ঘটনা ঘটেছে চীনে, যা হেগ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদালতের চুক্তিভুক্ত অঞ্চল নয়। আইসিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বেশিরভাগ অভিযোগ নিয়ে কাজ করার আঞ্চলিক এখতিয়ার এই আদালতের শর্তের মধ্যে পড়ে না। এছাড়া তাজিকিস্তান এবং কম্বোডিয়া থেকে উইঘুরদের জোরপূর্বক চীনে নির্বাসনের আরেকটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করার ‘কোনো ভিত্তি এই মুহূর্তে ছিল না’ বলে জানায় তারা। আসিসির আইনজীবীদের কাছে দায়ের করা অভিযোগ নিয়ে কাজ করার বাধ্যবাধকতা তাদের নেই। কোনো ঘটনা আদালতের বিচারকের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। তবে উইঘুর সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাজিকিস্তান এবং কম্বোডিয়ায় উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক নির্বাসনের ঘটনা ঘটেছে। দুটি দেশই আইসিসির সদস্য। তাই আইসিসি এই অভিযোগ নিয়ে কাজ করতে পারতো। উইঘুর সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা ‘নতুন অভিযোগের প্রমাণ’ নিয়ে কাজ করার জন্য আইসিসিকে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিক অঞ্চলের আগের নাম ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’। এটির চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে অবস্থিত। চীন সরকার এ অঞ্চলকে জিনজিয়াং নাম দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ৯০ লাখ মুসলিম অধ্যুষিত এ অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ উইঘুর নারী-পুরুষ বন্দি রয়েছে সুরক্ষিত বন্দি শিবিরে। চীন সরকার এ বন্দি শিবিরকে ‘চরিত্র সংশোধনাগার’ নাম দিয়েছে। চীন সরকারের দাবি, উশৃংঙ্খল অবস্থা থেকে নিরাপদ ও সুরক্ষা দিতেই তাদের এ কার্যক্রম। চরিত্র সংশোধনাগারের নামে চীন সরকার এ সব মুসলিমদের প্রতি চরম অত্যাচার ও নির্যাতন করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তা উঠে এসেছে। চীন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জানায়, সেখানকার বাসিন্দাদের সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রাখার জন্য জিনজিয়াং প্রদেশে চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App