×

সারাদেশ

শেরপুরে ৫০ বছর পর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৪৩ পিএম

শেরপুরে ৫০ বছর পর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ

ছবি: প্রতিনিধি

শেরপুরে দীর্ঘ ৫০ বছর পর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় শেরপুর শহরের ঝাউগড়া গ্রামের মৃগী নদীতে ৮ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। ওই নৃশংস গণহত্যার দীর্ঘ ৫০ বছর পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।

ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোক্তাদিরুল ইসলাম, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান মাহমুদ, সাদিক আল সাফিন, শহীদ চৌথমল কারুয়ার ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া শিবু, ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার, শহীদ নিবারণ চন্দ্র সাহার স্ত্রী বিনা পানি সাহা, ছেলে মানষ সাহা, কন্যা ভুবনি সাহাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন শেরপুর থানা শহরের নয়আনী বাজারের বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী চৌথমল কারুয়া, নিবারণ চন্দ্র সাহা, গোপেশ্বর সাহা, নিহার বসাক ভারতে না গিয়ে আত্মরক্ষা ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঝাউগড়া গ্রামে আশ্রয় নেন। ১৯৭১ সালের ১০ মে পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ফজলুর রহমান ওরফে ফজু মুন্সীসহ অপরাপর দোসররা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে ঝাউগড়া গ্রামে আশ্রয়েথাকা ওই হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের ধড়িয়ে দেন।

তাদের সঙ্গে ঝাউগড়া গ্রামের বাসিন্দা ভক্ত রাম বিশ্বাস, চিত্ত বিশ্বাস, নেপাল বিশ্বাস কেউ পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে শারীরিক নির্যাতন ও পরে মৃগী নদে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App