×

খেলা

সৌম্য-লিটন ঝলকে আটে সাত জয় চট্টগ্রামের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৪১ পিএম

সৌম্য-লিটন ঝলকে আটে সাত জয় চট্টগ্রামের

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে শনিবার বড় সংগ্রহ এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ১২২ রান আসে তাদের জুটিতে । রানের জন্য প্রান্ত বদল করছেন দু’জন

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শুরু থেকেই উড়ছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। রবিন রাউন্ড লিগে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে শনিবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ৩৬ রানে জিতেছে তারা। এ নিয়ে ৮ ম্যাচে ৭ জয় পেল চট্টগ্রাম। লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের দেয়া ১৭৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৯ রান করতে সক্ষম হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী। বল হাতে ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর ইনিংস গুটিয়ে দেয়ায় ম্যাচ সেরা হন নাহিদুল ইসলাম। এ হারের ফলে রাজশাহীর প্লে-অফে যাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

টস জিতে এদিন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে বড় সংগ্রহ এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। তাদের জুটিতে আসে ১২২ রান। এ সময় ৬৩ রান করে আনিসুল ইসলাম ইমনের বলে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। ৪৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে এই ইনিংস খেলেন তিনি। এ ইনিংসের ফলে টুর্নামেন্টের ৮ ম্যাচে তার রান ২৫৩, যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। স্কোর বোর্ডে আর ৪ রান যোগ হতেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার লিটন। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৫৫ রান। লিটন দাস এই ইনিংস খেলে হন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৭ ম্যাচে তিনি করেছেন ৩০৬ রান। শেষ দিকে শামসুর রহমানের ৩০ ও জিয়াউর রহমানের ১০ রানের সুবাদে ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে ২টি উইকেট নেন ইমন। একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ সাঈফউদ্দিন ও রেজাউর রহমান রাজা।

জবাব দিতে নেমে দলীয় ১০ রানে আনিসুল ইসলাম ইমনের উইকেট হারায় রাজশাহী। আনিসুল ফিরে গেলে নাজমুল হোসেন শান্তও কিছু সময় ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন। আনিসুল ১১ ও নাজমুল ৪ রান করেন। এই আসরে নাজমুল হোসেন শান্ত এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৮ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০১ রান। ১৬ রান করা রনি তালুকদারকে তুলে নেন নাহিদুল ইসলাম। ফজলে মাহমুদকে আইবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাকিবুল হাসান। আউট হওয়ার আগে মাহমুদ করেন ১৯ রান। মাঝে নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান ২টি বড় ইনিংস খেললেও জয়ের বন্দরে নোঙর করা হয়ে ওঠেনি রাজশাহীর।

নুরুল হাসান ২৮ ও মেহেদি ২৬ রান করেন। ২৮ বলে ২ চারে ২৮ রান করার পর নুরুল হাসানকে জিয়াউর রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজুর রহমান। টুর্নামেন্টে এটি কাটার মাস্টারের ১৬তম উইকেট, যা সর্বোচ্চ। বাকিদের মধ্য সানজামুল ইসলাম ১২ ও মোহাম্মদ সাঈফউদ্দিন ৯ রান করেন। চট্টগ্রামের হয়ে নাহিদুল ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি উইকেট নেন জিয়াউর রহমান। শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানরা একটি করে উইকেট পান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App