×

জাতীয়

দুই পাড়ের বন্ধন হতে পারে বৃহস্পতিবারেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৪৬ পিএম

দুই পাড়ের বন্ধন হতে পারে বৃহস্পতিবারেই

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটি আগামীকাল স্থাপন করা হবে। এটি সেতুর ৪১তম স্প্যন। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান ‘২এফ’ ইয়ার্ড থেকে ভাসামান ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান ই’ তুলে নিয়ে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঘড়ির কাটায় সন্ধ্যা ৫টা ৫ মিনিট বাজতেই ইয়ার্ড থেকে জাহাজটি রওনা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুবিধাজনক সময়ে মাওয়া প্রান্তে স্প্যানটি ১২ ও ১৩নম্বর খুঁটিটে স্থাপন করা হবে। সর্বশেষ স্প্যানটি স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মার দুই পাড় মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যাবে। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে হবে।

তিনি বলেন, এটি বুধবার বেলা আড়াইটায় রওনা হওয়ার কথা থাকলে নানা কারণে বিলম্ব হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন নদীতে ধীরে ধীরে খুঁটির দিকে এগুচ্ছে ৩ হাজারেরও বেশী ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ২২ মিটার প্রশস্ত স্প্যানটি নিয়ে জাহাজটি এগুচ্ছে। স্প্যানবাহী জাহাজে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

সফিকুল ইসলাম বলেন, স্প্যানটির নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। স্প্যানটি স্থাপন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটি ও আশপাশ এলাকায় ফেরিসহ সব ধরণের নৌযান চলাচাল নিষেধ করা হয়েছে। পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এটি বুধবার বেলা আড়াইটায় রওনা হওয়ার কথা থাকলে নানা কারণে বিলম্ব হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন নদীতে ধীরে ধীরে খুঁটির দিকে এগুচ্ছে ৩ হাজারেরও বেশী ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ২২ মিটার প্রশস্ত স্প্যানটি নিয়ে জাহাজটি এগুচ্ছে। স্প্যানবাহী জাহাজে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

উইকিপিডিয়া সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হচ্ছে ইতিহাসের একটি বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে রয়েছে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু। এই সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App