×

জাতীয়

হাজি সেলিমের স্থাপনা উচ্ছেদ, ম্যাপ প্রকাশের দাবি স্থানীয়দের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:১৭ পিএম

হাজি সেলিমের স্থাপনা উচ্ছেদ, ম্যাপ প্রকাশের দাবি স্থানীয়দের

হাজি সেলিমের স্থাপনা উচ্ছেদ/ছবি: ভোরের কাগজ।

বুড়িগঙ্গার তীরভূমি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ সময় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের মালিকানাধীন চাঁন সরদার কোল্ড স্টোরেজ ও মদিনা পানির ট্যাংকের গুদামের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে দেয়া হয়। ভাঙ্গা হয়েছে বহুতল ভবন, মার্কেটসহ আরো দেড় শতাধিক স্থাপনা। পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় রবিবার এ অভিযান চালানো হয়।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর একই স্থানে অভিযান চালিয়েছিল বিআইডব্লিউটিএ। তখন হাজি সেলিমের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হলে ফিরে আসে উচ্ছেদদল। গতকাল উচ্ছেদের সময় দেখা যায়, কোল্ড স্টোরেজের মূলফটক ও কিছু অংশ নিজেরই সরিয়ে নিয়েছে হাজি সেলিমের লোকজন। কিন্তু এর দুই পাশে বেড়িবাধের দিকে গড়ে তোলা ১০/১২টি সেমিপাকা দোকান আগের মতোই রয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কামালবাগের দিকে মদিনা পানির ট্যাংকের বিশাল একটি গুদাম ঘরও সরানো হয়নি। উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেয়া ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও বেশ কয়েক দফা এসব স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছিল। বিশেষ করে ৭/৮ বছর আগে সোয়ারীঘাট মাছের আড়তের সামনের দোকান ঘরগুলো ভেঙ্গে দেয়া হলেও কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলো আবারো গড়ে তোলেন দখলদাররা। সোয়ারীঘাট থেকে মিটফোর্ট পযর্ন্ত এমন অনেক দখলদার রয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে কামালবাগের বাসিন্দা মঞ্জুর হোসেন জানান, বিআইডব্লিউটিএর অভিযানে দুশ্চিন্তায় আছেন অনেকেই। কারণ, সোয়ারীঘাটের ওই অংশে হয়তো দখলদার থাকতে পারে। কিন্তু কামালবাগ এলাকায় নেই। ২০/২২ বছর আগে বেড়িবাধ নির্মাণের সময় এখানকার জমি সরকার অধিগ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে বিআইডব্লিটিএ কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে সীমানা পিলার বসায়। এখন আবার সংস্থাটি নতুন করে মাপামাপি শুরু করেছে। তিনি বিআইডব্লিউটিএর কাছে নদীর সঠিক সীমানা ম্যাপ প্রকাশের দাবি জানান।

একই কথা জানান স্থানীয় অনেক বাসিন্দা। হাজি হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিবারই উচ্ছেদের পর তারা মনে করেন, আর বুঝি ভাঙ্গা হবে না। কিন্তু কয়েক দিন পর আবার নতুন করে ভাঙচুর করা হয়। এর আগে কামালবাগের মানুষ বিআইডব্লিউটিএর দেখিয়ে দেয়া সীমানা অনুযায়ী নিজেরাই নিজেদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েকবার অভিযান চালানো হলেও এখানে আর ভাঙ্গা হয়নি। কিন্তু আজ এসে নতুন করে ৭০ ফুট জমি ছাড়তে বলা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের কাছে নদীর সীমানা ম্যাপ দেখতে চাওয়া হলেও উল্টো ধমক দিয়ে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা গুলজার আলী জানান, অভিযানে মোট ১৬৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বহুতল পাকা দালাল ১০টি, একতলা পাকা দোকান ২০টি এবং আধাপাকা, টং, টিনের ঘর ও মাছের গদি রয়েছে ১৩৫টি। নদীর অবমুক্ত জমির পরিমান প্রায় ২ একর। সোমবারও অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App