×

অর্থনীতি

এসএমই খাত উত্তরণে ইআরএফকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৫৩ পিএম

করোনার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হতে এসএমই খাতের উত্তরণে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-কে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে সেটির সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে শিল্প খাতের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি আজ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের জন্য আয়োজিত 'Contribution of SMEs for the economic development of Bangladesh: A post-COVID-19 perspective' শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বিআইডিএস'র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসএমই ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের এসএমই উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে রাজধানীর পূর্বাচলে একটি স্থায়ী সেলস্ অ্যান্ড ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয়, প্রদর্শন এবং বাজারজাতকরণের জন্য সব ধরনের সুবিধা গড়ে তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির এ ধরণের অপ্রত্যাশিত দূরবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলোতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি এবং বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনার ফলে সৃষ্ট অর্থনীতি পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিচ্ছন্ন ও প্রোঅ্যাকটিভ পলিসি গ্রহণ করে অর্থনীতির সকল খাতের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের চাহিদা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য সাধারণ মানুষের হাতে আরও অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি এসএমই খাতের জন্য প্রণোদনা আরো বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ডঃ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সারভাইভাল এসএমইগুলোকে কমার্শিয়াল ভায়াবেল এসএমইতে পরিণত করতে হবে। বড় শিল্পখাতকে শক্তিশালী করতে সংশ্লিষ্ট এসএমই খাত বিকশিত করার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে একটি শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন গড়ে উঠবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এসএমই খাতের জন্য নীতি সহায়তা আরো জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে এসএমই খাতকে টিকে থাকতে হলে এখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় বিআইডিএস'র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, এস এম ই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সে অনুপাতে নারী উদ্যোক্তাগণ প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা পাচ্ছেননা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App