×

সারাদেশ

মৃৎশিল্পকে ভালবেসে ফেলেছি, তাই ছাড়তে পারছি না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৩৬ পিএম

মৃৎশিল্পকে ভালবেসে ফেলেছি, তাই ছাড়তে পারছি না

মাটি দিয়ে পরম যত্নে দইয়ের টোপা তৈরি করেন মালতী রানী পাল । ছবি: কামরুল সিকদার

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ গ্রামের রাজপ্রসাদ পালের স্ত্রী মালতী রানী পাল মৃৎশিল্পের পেশার মাধ্যমে পরিবারের ভাগ্যোন্নয়ন করেছেন। মৃৎশিল্পের কাজ করেই ছেলেদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন তিনি। এই পেশায় আঁকড়ে থেকেই বড় ছেলের ভালো চাকরিও জুটিয়েছেন।

এই মৃৎশিল্পের পেশা বা পালের কাজকে অনেকেই ছোট মনে করেন। কিন্তু মালতী পালের এক ছেলে পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক হওয়ার পরও তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চান না। পরিবারে স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে স্বামীর বংশানুক্রমিক পেশাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।

মালতী রানী পাল জানান, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে উপ-পুলিশ পরিদর্শক, আর ছোট ছেলে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। এখন ভাল চাকুরির আশায় ঢাকায় বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মালতী এখন মাটি দিয়ে পরম যত্নে দইয়ের টোপা (হাঁড়ি) তৈরি করেন। সপ্তাহে তিন দিন টোপা তৈরি করেন। একদিনে ৫০/৬০টি দইয়ের টোপা তৈরি করা যায়। প্রতিটি টোপা শুকনো অবস্থায় না পুড়িয়ে চার টাকা দরে অন্য পালের নিকট বিক্রি করেন।

মালতী রানী পাল বলেন, মাটির এ কাজকে ভালবেসে ফেলেছি। তাই এখন ছাড়তে পারছি না। বড় ছেলে ভাল চাকুরি করে। এখন মাটির কাজ না করলেও চলে। তবু এই জাত পেশাকে ছাড়তে মন চায় না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App