নারী হ্যান্ডবলে বাংলাদেশ আনসার সেরা

আগের সংবাদ

রাণীনগরে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচারণা

পরের সংবাদ

ম্যারাডোনার নামে নাপোলির স্টেডিয়াম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২০ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২০ , ৬:৪০ অপরাহ্ণ

প্রয়াত ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে সান পাওলো স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ম্যারাডোনার নামে করেছে নাপোলি। নতুন নাম অনুযায়ী স্টেডিয়ামটির নাম হলো ‘স্টেডিও দিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা’। শনিবার ন্যাপলস শহর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এই নাম অনুমোদন দিয়েছে। ক্রীড়াবিষয়ক সাইট গোল ডটকম এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।

ঘুমের মধ্যেই দিয়াগো ম্যারাডোনা গত ২৫ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে মূহ্যমান হয়ে পড়ে পুরো ফুটবল দুনিয়া। নাপোলিতে খেলে যাওয়ায় ম্যারাডোনার প্রতি শোকে ক্লাবটি ছিল খুব সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কাতর। তাই তো কিংবদন্তির মৃত্যুর পর দিনই নাপোলি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দেন ন্যাপলসের মেয়র লুইজি ডি ম্যাজিস্ট্রিস। এবার মেয়রের সেই পরামর্শ বাস্তবায়ন করা হলো।

ম্যারাডোনার প্রতি নাপোলির এমন শ্রদ্ধা জানানোর কারণ কি? এটি শুধুই ফুটবলার ম্যারাডোনার জন্য? না অন্য কারণ আছে? নাপোলির জার্সি গায়ে ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সাতটি মৌসুম খেলেছেন ম্যারাডোনা। এ সময়ে নাপোলি জেতে দুইটি সিরি আর শিরোপা। একক কৃতিত্বে দলটিকে ইউরোপ মঞ্চেও চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। তার মৃত্যুতে তো নাপোলি এভাবে শ্রদ্ধা জানাবেই!

শুধু এটিই না, ক্লাবের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের প্রতি সম্মান জানাতে ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর একটি ম্যাচে নাপোলির সব খেলোয়াড় তার নামে ১০ নম্বর জার্সি পরেও খেলেছে। ওই যে, সে সময়টায় ম্যারাডোনার প্রেমে পড়ে ন্যাপলসবাসী তা এখনো আছে। হয়তো জনম জনম থাকবেও।

বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যারাডোনা নাপোলিতে পাড়ি জমান। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দলটির হয়ে লিগে ১৮৮ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৮১টি। সব মিলিয়ে তিনি খেলেছেন ২৫৯ ম্যাচ। যেখান থেকে ১১৫বার লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে ছিয়াশি বিশ্বকাপ জেতানোর এই নায়ক। ক্লাব ফুটবলে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ^র আরো খেলেছেন বোকা জুনিয়র্স, আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, সেভিয়া ও নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে। নাপোলির পর তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে। তবে এখানেই এই কিংবদন্তি করেছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি গোল। ১৬৬ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১১৬ গোল।

ক্লাব ফুটবলে ম্যারাডোনা যতটা উজ্জ্বল জাতীয় দলের জার্সিতে আরো বেশি মনোমুগ্ধকর তার পারফরম্যান্স। খুব বেশি ম্যাচ খেলতে না পারলেও দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। যেখানে সবটা কৃতিত্বও তাকে দিলে খুব একটা অপরাধ করা হবে না। ওই বিশ^কাপটা ম্যারাডোনার জন্য একটু ব্যতিক্রমই ছিল। ওই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ‘হ্যান্ড অব গড’ শব্দত্রয়ের আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনা এর আগে বিশ্বকাপের স্বাদ নিয়েছিল ১৯৭৮ সালে। সেবার অবশ্য দলে ছিলেন না ম্যারাডোনা।

এসএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়