×

সারাদেশ

চসিকের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৮ এএম

চসিকের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন
মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ চট্টগ্রাম নগরবাসী। মশার কামড়ে প্রতিদিন ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় নিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর দাবি করা হলেও সেই ওষুধে মশা কমছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অবস্থায় মশা নিধনে চসিকের ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা ও মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে ওষুধের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চসিক ওষুধ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। চসিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে চসিক মশা নিধনের ওষুধ সংগ্রহ করছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও ওষুধ সরবরাহ করত। তবে ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় ২০১৯ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখায় (সিডিসি) সেই ওষুধ পরীক্ষা করায়। সংস্থা দুটি সরকারি ওই প্রতিষ্ঠানটির ওষুধ ‘অকার্যকর’ বলে জানিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে ‘অকার্যকর’ ঘোষিত সেই ওষুধ দিয়েই মশা নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছে চসিক। এ ব্যাপারে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক ভোরের কাগজকে বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। গত মাসে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ায় হঠাৎ করে মশার উৎপাত বেড়েছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের চলমান এই মশা নিধন কার্যক্রম তদারক করার জন্য ৮ সদস্যের একটি সেল গঠন করা হয়েছে। সেলের পক্ষ থেকে কার্যক্রমের অগ্রগতি তদারক করা হচ্ছে। চসিকের ব্যবহৃত মশার ওষুধের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত জুন মাসে ঢাকার রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে ওষুধ পরীক্ষা করানো হয়। তারা ওষুধ দুটি ‘কার্যকর (পজেটিভ)’ জানিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। তবুও স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার জন্য গত ৩০ নভেম্বর বায়েজিদ এলাকাস্থ বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) সায়েন্স ল্যাবে আমাদের স্টোর থেকে লার্ভিসাইড (মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ) এবং এডালটিসাইড (পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী) ওষুধের স্যাম্পল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওই ল্যাবে মশার ওষুধ পরীক্ষা করা হয় না বলে তারা জানিয়েছে। আমরা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উনারা কোনো রেসপন্স এখনো করেননি। এদিকে মশার প্রজনন রোধে গত ৪ নভেম্বর থেকে খাল পরিষ্কার শুরু করেছে চসিক। ৬ নভেম্বর থেকে সংস্থাটি মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রমও শুরু করেছে। তাছাড়া জলাবদ্ধ স্থানে ছিটানোর জন্য চসিক পদ্মা অয়েলের কাছ থেকে ১৫ হাজার লিটার কালো তেল (এলডিও ও এইচএসডি) ক্রয় করছে। তবে এতকিছুর পরও নগরীতে মশার উৎপাত কমছে না উপরন্তু বাড়ছে। কলেজ শিক্ষার্থী জয়দীপ দাশ বলেন, রাত-দিন সবসময় মশার উৎপাত। কয়েল বা গুডনাইট জ্বালিয়েও মশা তাড়ানো যাচ্ছে না। মশারি টাঙিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।    

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App