×

জাতীয়

করোনা সনদ ছাড়াই দেশে ফিরছে ১০ শতাংশ যাত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৩১ এএম

করোনা সনদ ছাড়াই দেশে ফিরছে ১০ শতাংশ যাত্রী

ফাইল ছবি

বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনামুক্ত সনদ সঙ্গে নিয়ে আসার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক যাত্রী পরীক্ষা না করে সনদ ছাড়াই দেশে আসছেন। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায়ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযোগ করোনামুক্ত সনদ ছাড়া আসা যাত্রীরা যেন কোনো বিমানে পরিবহন না করেন, সে বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, অনেক আগেই আমরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছি। যাতে তারা এয়ারলাইনগুলোকে বলে দেয় যে করোনার নেগেটিভ সনদ ছাড়া কেউ না আসে। কিন্তু এর কার্যকারিতা কম দেখতে পাচ্ছি। আমি বলব এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সব দেশের সবার সচেতনতা দরকার। এ ছাড়া এই ক্ষেত্রে যে যে মন্ত্রণালয় জড়িত তাদের সবার সহযোগিতা দরকার। এই বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই বলা হয়। মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ বিষয়টি শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের হাতে নেই। গত ২০ নভেম্বর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ২২তম সভায় বলা হয়, সব এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষকে যাত্রার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআরের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে। এয়ারপোর্ট (বিশেষত ঢাকা), সিপোর্ট ও ল্যান্ডপোর্টসমূহে রিপোর্ট চেক করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভুয়া রিপোর্ট সম্বন্ধে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো কারণে সনদ ছাড়া যাত্রী আসলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এটা যাত্রীর নিজ খরচে করা যেতে পারে। এক-দুই দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। তবে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখতে হবে। ইতোমধ্যে যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে এই কাজটি শুধু তাদের একার নয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে অন্য অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের যুক্ততা রয়েছে। ফলে সমন্বয়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, করোনা নেগেটিভ সনদ না আনলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এমন ঘোষণার পর সংখ্যায় কম হলেও অনেকেই সনদ ছাড়া আসছেন। ৯০ শতাংশ বিদেশ ফেরত যাত্রী করোনা মুক্ত সনদ নিয়ে এখন দেশে ফিরছেন। আর ১০ শতাংশ নেগেটিভ সনদ ছাড়া ফিরছে। তাদের রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আশকোনার হজ ক্যাম্পে সেনাসদস্যদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত; করোনার কারণে তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১৬ জুন থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। এর কিছুদিন আগে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল চালু হয়। ওই সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বিমান চলাচল করবে। নিয়ম অনুযায়ী ঢাকায় অবতরণের সময় যাত্রীর করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। আর নেগেটিভ সনদ থাকলে বাড়িতে বা হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। আপাতত রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে আসার যাত্রীদের ক্ষেত্রেই এ নিয়ম চালু করা হয়েছে।    

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App