×

জাতীয়

রেলপথে আন্ডারপাসের উচ্চতা কম কেন?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:২৯ পিএম

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মংলা পোর্টসহ সারা দেশে রেললাইন তৈরির পরিকল্পনায় আন্ডার পাসগুলোতে হাই কিউব কন্টেইনার পরিবহণের সুবিধা কেনো রাখা হয়নি সে বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা ও রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এবিষয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদেরকে ১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী কমিটি বৈঠকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি এমপি আব্দুস শহীদ।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠক কমিটি সভাপতি আব্দুস শহীদ এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি সদস্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং খাদিজাতুল আনোয়ার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ ভোরের কাগজকে জানান, ঢাকা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্তসহ সারা দেশে রেললাইন তৈরির পরিকল্পনায় আন্ডার পাসগুলোতে হাই কিউব কন্টেইনার পরিবহণের সুবিধা রাখা হয়নি, সবগুলো আ-ারপাসের উচ্চতা কম। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ রেলরুট- ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক রেলপথ এবং পদ্মা ব্রিজ থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথে প্রচুর পরিমান হাই কিউব কন্টেইনার আনা নেয়া করা হবে। কেননা, এ রেলপথ দিয়ে মংলা পোর্টসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সমগ্র ব্যবসা বাণিজ্য ঢাকার সাথে পদ্মা সেতু দিয়ে হবে। সেকারণে যারা মংলাপোর্ট বা এ রেলপথ ব্যবহার করে হাই কিউব কন্টেইনার দিয়ে মালামাল বহন করবেন তাদেরকে ছোট কন্টেনার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে দেশের ও ব্যবসায়ীদের অসুবিধা ও লোকসান ঘটবে। তাই রেলপথ তৈরির সময় এ রুটটি সহ সমগ্র দেশের রেলপথের আন্ডার পাসগুলোতে হাই কিউব কন্টেইনার পরিবহণের সুবিধা কেনো রাখা হয়নি তা রেলওয়ের কাছে জানতে চেয়েছি।

ইতিমধ্যে পদ্মা লিংক রেল প্রকল্পে পদ্মা সেতুতে ওঠার মুখে কম উচ্চতা সম্পন্ন আ-ারপাস থাকায় হাই কিউব কন্টেইনার ওঠা নামা করতে না পারার বিষয়টি উঠে এসেছে। যা সমাধানে রেলওয়ে, পদ্মা ব্রিজ কতৃপক্ষ এবং বুয়েট একত্রিত হয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে। এটি সমাধান করতে পদ্মা ব্রিজে ওঠার মুখের পিলার ভেঙে দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা বাড়ানোর বিষয়টি সুপারিশ করা হয়েছে। যার সমাধান এখনো না করতে পারায় বিগত ৩ মাসাধিককাল এখানে কাজ বন্ধও রয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা এবং খরচ হ্রাস করারও সুপারিশ করা হয়েছে। এবং একটি বড় প্রকল্পকে পৃথক করে জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটকে একটি প্রকল্প এবং উন্নয়ন কাজগুলোর জন্য আরেকটি প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সড়ক পথে রেল সিগনালের স্থানগুলোতে ওভারপাস তৈরি করে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবারও সুপারিশ করা হয়।

তবে এ বিষয়ে জিঞ্জেস করলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম না, আমাদের দুজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেকারণে সংসদীয় কমিটিতে কি কথা-বার্তা হয়েছে এখনো আমি জানি না। বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরের চলমান প্রকল্পের উপর আলোচনা এবং ৬ষ্ঠ বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি কর্তৃক কৃত সুপারিশের বাস্তবায়ন/অগ্রগতির উপর আলোচনা করা হয়।

কমিটি মন্ত্রণালয়কে ২০০৮ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেললাইন, সিট, সিগনাল ব্যবস্থা এবং প্লাটফর্মসহ রেলওয়েতে যাত্রীসেবার উন্নয়নের একটি সার্বিক প্রতিবেদন দেবার সুপারিশ করেছে। বৈঠকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App