×

সারাদেশ

পুলিশ ফাঁড়ির এএসআইর ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফাঁস (ভিডিও সহ)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৪৪ পিএম

পুলিশ ফাঁড়ির এএসআইর ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফাঁস (ভিডিও সহ)
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হারুন রশীদের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।এরপর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে করোনা কালিন সময়ে দোকান পাট খুলে রাখলেই তাকে চাঁদা দিতে হতো।এছাড়াও তাহেরপুর পৌর সভার আশে পাশের মাদক ব্যবসায়ীর সাথে তার বেশ সম্পর্ক ছিল। স্থানীয়রা জানান, করোনা কালিন সময়ে সাজুড়িয়া গ্রামের কুখ্যাত মাদক সেবী লেদ আজাদকে হেরোইন ও ইয়াবাসহ তাহেরপুর ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই হারুন গ্রেপ্তার করে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া রামরামা হাজরা পুকুর গ্রামের সুবদের ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী সনাতনকে তাহেরপুর ফাঁড়ি পুলিশ হারুন গ্রেপ্তার করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলেও আভিযোগ রয়েছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের ইমন নামে এক ছাত্র কে ১০ পিছ ইয়াবা দিয়ে আটক করে এএসআই হারুন রশীদ। তাকে পারিবারিক কলহের জেরে টাকার বিনিময়ে এএসআই হারুন রশীদ ফাঁসিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসম এলাকার সচেতন জনসাধারণ তীব্র নিন্দা জানায়। আরো অভিযোগ রয়েছে, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের এক চাকুরী জীবি নারীর ঘরে ঢোকার মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই হারুন রশীদ অভিযুক্ত বাড়িতে হামলা দিয়ে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে ৭০ হাজার টাকার দাবি করেন। স্হানীয় কিছু নেতাকর্মীদের সাথে দাম কষাকষির মাধ্যমে উপর মহল কে ম্যনেজের কথা বলে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এএসআই হারুন রশীদ। এছাড়াও হারুন রশীদের এক ভিডিওতে দেখা যায়, দোকান হতে চাঁদাবাজি করার দৃশ্য। প্রথমে দোকান ঢুকে সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে দেখে মনে হয় থানার বড় কর্তা বাবু।দোকানে গিয়ে টাকা চাইলে প্রথমে ১ হাজার টাকা দিলে টাকা না নিয়ে ছুড়ে মারতে দেখা যায়। পরে আবার ১ হাজার টাকা দিলে নিয়ে কৌশলে দোকানের উপরে থাকা মোবাইল রাখার ট্রে ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলে।পরে সু কৌশল আবার টাকা নিয়ে দোকান হতে চলে যায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকান দার বলেন আমি একজনার কাছ হতে অল্প কিছু টাকা পেতাম।আমি বিষয় এএসআই হারুন রশীদ কে বললে যার কাছ হতে টাকা পেতাম তাকে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখালে সে আমাকে টাকা দিয়ে দেয়।পরে এএসআই হারুন এসে আমার কাছ হতে জোর করে দুই হাজার টাকার দাবি করলে আমিও ভয়ে দিয়ে দিই। আরো অভিযোগ রয়েছে, হারুন রশীদের বাসা চাপাইনবাবগঞ্জ হওয়ায় চোরাই পথে আসা মোবাইল ফোন তাহেরপুর এনে বিভিন্ন দোকানে সু কৌশলে বিক্রয় করে। এদিকে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এএসআই হারুন রশীদের এমন বেপরোয়া হওয়ায় কারণে তাহেরপুর পৌরবাসীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,দু একজন পুলিশ সদস্যর এমন অপকর্মের কারণে আজ সকল পুলিশ সদস্য সন্মান নষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জন্য রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের কাছে জোর দাবি জানান। অভিযুক্ত তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই হারুন কে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে বিষয়টি সু কৌশল এড়িয়ে যান এবং চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। https://www.youtube.com/watch?v=mDC96s51xn8

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App