×

পুরনো খবর

ই-পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:০৩ পিএম

ই-পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম
ই-পাসপোর্ট সেবার নামে চলছে অবৈধ লেনদেন। বিশেষ করে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এর ভুক্তভোগী। যাদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে, সম্পন্ন হচ্ছে পদ্ম সেতু ও মেট্রোরেলের মতো বিশাল বিশাল মেগা প্রজেক্ট, তাদেরই পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। ২০১৯ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন শুধু ঢাকার আগারগাঁও শাখায় ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু করে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে দেশজুড়ে এর কার্যক্রম। ই-পাসপোর্টের ফরম পূরণ করার সময় আবেদনকারীর নিজস্ব তথ্যসহ উল্লিখিত তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে পূরণ করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই ফরমের ঐচ্ছিক অপশনটাতেও ভুল পূরণ করলে অনেক আবেদনকারীকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বাস্তবে এটা কখনোই কাক্সিক্ষত নয়। পরবর্তী সময়ে এই ফাঁকা রাখার জন্য বা কোনো বক্সে ভুল তথ্য লেখার ফলে অসৌজন্যমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের থেকে। আবার ভুল করে ফেললে নেই কোনো সংশোধনের ব্যবস্থা। তবে অবৈধ লেনদেন বা ঘুষ দিলে মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যায় কাজ। শুরুর দিকে কর্মকর্তারা টাকা চায় না। আবেদনকারীদের বলে, আপনার আবেদন ২১ দিনের মধ্যে বাতিল হয়ে যাবে। তারপর পুনরায় আবেদন করার সুযোগ থাকবে। কিন্তু আবেদনকারীদের অভিযোগ ৬০ দিনেও তাদের আবেদন বাতিল হয় না। ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে’র দারস্থ হলে তারা বলে আমাদের সার্ভার ডাউন, পরে আসেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা ১ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিলেই সমাধান হয়ে যায় রেজিস্ট্রেশনের ভুল কিংবা ফাঁকা বক্স পূরণের জটিলতা। সেদিন এক ভুক্তভোগী জানালো, তার বাবা মৃত হওয়ায়, তার পেশার অংশটিতে মৃত লিখেছিলেন। তারপর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা, মৃত্যুর প্রমাণস্বরূপ ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ চেয়েছেন। প্রমাণ ব্যতীত নাকি আবেদনকারীর পাসপোর্ট করা সম্ভব না। পরে তাকে নানাভাবে এই ডেক্স থেকে ওই ডেক্সে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তারপর তার কাছ থেকে ৫ হাজার সমপরিমাণ টাকা নিয়ে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যদিও দুজনই এই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত। কারণ পাপ যে করে, আর যে সহে, দুজনই সমান অপরাধী। তবুও নিরুপায় হয়ে অনেকে এমন পন্থাকে বেছে নেন। তাই পাসপোর্ট অফিসের অসহনীয় দুর্নীতির এই ছোবল থেকে জনসাধারণকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App