×

জাতীয়

১১টি খাল দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিলেন তাপস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৪৬ পিএম

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নিজস্ব অর্থায়নে ১১টি খাল দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসির) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এগুলো পরিষ্কার করে পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ মেয়াদিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু করা হবে।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুর খাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জনগণের সহযোগিতা থাকলে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।

এসময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সাংসদ সানজিদা খানম ডিএসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমানসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরগণ।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার একটি মূল কারণ হলো ঢাকার মধ্য দিয়ে যে খালগুলো প্রবাহিত, সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বদ্ধ হয়ে গেছে। ভূমিদস্যুরা যেমনি এগুলো দখল করেছে, তেমনি খালগুলোর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। কিছুদিন আগেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নেতৃত্বে এ খালগুলো ওয়াসা থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো আমরা আরম্ভ করেছি।

শেখ তাপস বলেন, খাল পুনরুদ্ধারে আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম আমরা নিজ অর্থায়নে আরম্ভ করে দিচ্ছি। ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) দেখে আমরা সীমানা নির্ধারণ করব। খালগুলো দখলমুক্ত করব। খালের মধ্যে যেসব বর্জ্য রয়েছে তা আমরা অপসারণ করব। জলপ্রবাহ ঠিক করতে পারলে ঢাকার বিভিন্ন অংশে যেখানে জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে, সেগুলো আর হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্পমেয়াদি কাজটা নিজস্ব অর্থায়নে করছি। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ মেয়াদে এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা কাজটি সম্পন্ন করব।

বক্স কালভার্ট নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, বক্স কালভার্টগুলো বিশেষ করে পান্থপথ ও ধোলাইখালের বক্স কালভার্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা অচিরেই সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ আরম্ভ করব। পরবর্তীতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় কি করা যায়, বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই কার্যক্রম হাতে নেব।

এর আগে আজ সকালে তিনি জিরানি খালের ত্রিমোহনী এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সিএস খতিয়ান অনুযায়ী খাল দখল করে নির্মাণ করা বাড়ি-ঘরগুলোর যে অংশ খালের মধ্যে পড়েছে, দ্রুত সেগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে ডিএসসিসি মেয়র শ্যামপুর খালের আরেক প্রান্ত, মতিঝিলের সিটি টাওয়ার, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের রাস্তা ও পুটপাত এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সম্মুখস্থল ও ওসমান গনি রোড পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App