×

সারাদেশ

মেঘনা তীরের মাটি ইটভাটায়, ভাঙনের মুখে কয়েকশ পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:১৮ পিএম

মেঘনা তীরের মাটি ইটভাটায়, ভাঙনের মুখে কয়েকশ পরিবার

মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। ছবি: ভোরের কাগজ।

কমলনগরের মেঘনা নদীর পাড়ের মাটি কেটে করা হচ্ছে ইট। অসাধু চক্র নদীর তীর কেটে জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে এই মাটি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মেঘনা পাড়ের মাটি কাটা।

নদীর তীর কেটে নেওয়ায় ভাঙন বেড়ে চরম হুমকির মুখে পড়ছে তীরবর্তী এলাকা। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বেড়েছে নদী ভাঙন আতঙ্ক।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রায় ভাটার মালিকের নির্দেশে শ্রমিকরা নদীর তীরের ফসিল জমির মাটি কেটে ট্রাক্টরট্রলি বোঝাই করে নিয়ে নিচ্ছে। এভাবেই গত কয়েকদিন থেকে অব্যাহতভাবে মাটি কেটে নিতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় জমির মালিকদেরকে মাটি বিক্রির জন্য প্রলুদ্ধ করছে। নদীতে জমি ভেঙ্গে যাবে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে নামমাত্র টাকা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নদীর তীরের মাটি।

এলাকাবাসী জানায়, কমলনগর নদীভাঙন কবলিত এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে এভাবে মাটি কেটে নিতে থাকলে ভাঙন আরো বাড়বে। বিলীন হবে বিস্তীর্ণ জনপদ। হুমকির মুখে পড়বে হাজার হাজার পরিবার। তাছাড়া মাটি কেটে নেওয়ায় ইতোমধ্যে ফসলি জমি ভেঙে খালে পরিনত হয়েছে। এতে সহসাই কয়েকটি পরিবার তাদের ঘর-বাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দুঃশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধের মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর পাশ থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। যে কারণে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

কমলনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, ইচ্ছে করে কেউ মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে পারে না। কেউ যাতে নদীর তীর থেকে মাটি কাটতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর থাকবো।

কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, একটি চক্র জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে মাটি কিনে ইটের ভাটায় দিচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে কমলনগর। এব্যাপারে স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। এদিকে যারা মাটি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App