×

জাতীয়

নতুন প্রজন্মের চাহিদা মিটাবে অগ্রসরমান ভোরের কাগজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০৮:০২ পিএম

নতুন প্রজন্মের চাহিদা মিটাবে অগ্রসরমান ভোরের কাগজ

ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০/ছবি: মাছুদ পারভেজ আনিস

নতুন প্রজন্মের চাহিদা মিটাবে অগ্রসরমান ভোরের কাগজ

ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০/ছবি: মাছুদ পারভেজ আনিস

নতুন প্রজন্মের চাহিদা মিটাবে অগ্রসরমান ভোরের কাগজ

ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০/ছবি: মাছুদ পারভেজ আনিস

কুঁয়াশার মায়া জড়ানো শীতের সকাল ধীরে ধীরে নীরবতা ভাঙতে শুরু করেছে। ইট পাথরের রাজধানীর দেয়ালের ফাঁক গলে উকি মারছে আলো ঝলমল সূর্যি মামা। রাস্তাও ভেঙেছে তার স্তব্ধতা। খেটে খাওয়া মানুষের পথচারনায় ক্রমেই বাড়ছে ভিড়। সবজির দোকানিরা সাজিয়েছেন পসরা। ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে হয়তো বেলকনিতে পত্রিকার পাতা উল্টানো শুরু করেছে বাড়ির কর্তারা। ঠিক এ সময়ে পালাক্রমে ভিড় বাড়তে থাকে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি)। গেটের পাশেই ব্যানার দেখলেই ভীড়ের কারণটি স্পষ্ট হবে সবাই। শীতের সকালের মায়া কাটিয়ে সবাই জমা হওয়ার কারণ একটাই। ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পিআইবিতে উপস্থিত হন সব জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার ৭৫ জন প্রতিনিধি। সকালের নাস্তার ফাঁকে কুশল বিনিময় ও নিজ নিজ এলাকার খোঁজ নিয়ে সবাই উপস্থিত হন অডিটরিয়াম রুমে। শুরু থেকেই সবার একটিই আগ্রহ ফুঁটে ওঠে। প্রতিবারের মতো এবার নতুন কি বার্তা দিবেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। নিরাস করেননি তিনি। নতুন প্রজন্মের চাহিদা মতো অনলাইনের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ভোরের কাগজকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ও পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। এ সময় করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অডিটরিয়াম রুম। [caption id="attachment_253651" align="aligncenter" width="1280"] ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০/ছবি: মাছুদ পারভেজ আনিস[/caption] এভাবে করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব মুখর পরিবেশে সোমবার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় ভোরের কাগজের ‘জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০’। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোরের কাগজের মফস্বল সম্পাদক মো. আবদুল মোতালেব, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও অর্থ ব্যবস্থাপক মো. আবদুল করিম (সোহাগ), বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক এস এম এ রাজ্জাক, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক সুজন নন্দী মজুমদার, সার্কুলেশন ইনচার্জ মো. তছলিম চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমবারিন খান, আইটি এক্সিকিউটিভ মো. মেহেদী হাসান নিয়াজ প্রমুখ। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয় প্রতিনিধিদের উন্মুক্ত সেশন। প্রত্যেক জেলার প্রতিনিধিরা ভোরের কাগজকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ মত প্রকাশ করেন। পরে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দেশে ১৪ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ফেসবুক আছে ৫ কোটি ৭০ জনের। দেখা যাচ্ছে মোবাইল যেমন ট্রেডিশনাল হয়ে গেছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহারও। এর সঙ্গে তাল মিলাতে কাজ করে যাচ্ছে ভোরের কাগজ। যার ফলশ্রুতিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করে ভোরের কাগজ লাইভ। কিন্তু করোনা মহামারীর মধ্যে নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিষয়টিতে তেমন জোর দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে, পর্যায়ক্রমে ভোরের কাগজকে সর্বাধুনিক মিডিয়া হাউজ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য সমন্বিত সহযোগীতার বিকল্প নেই। [caption id="attachment_253652" align="aligncenter" width="1280"] ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২০/ছবি: মাছুদ পারভেজ আনিস[/caption] জেলা প্রতিনিধিদের পত্রিকার বটবৃক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। আমি বিশ্বাস করি, সবার প্রচেষ্টায় ভোরের কাগজ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাবে। বেলা ১২টার দিকে ভোরের কাগজের আইটি টিম ও ভোরের কাগজ লাইভ (অনলাইন) টিমের সহায়তায় সব প্রতিনিধিকে অনলাইনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সবার মধ্যে যোগাযোগ আরো সহজ করতে উদ্বোধন করা হয় ভোরের কাগজ পরিবারের সদস্যদের ফোনবুক অ্যাপস। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মানতে ২ ধাপে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজন শেষে মফস্বল সম্পাদক ও বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক সবাইকে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এ সময় বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক এস এম এ রাজ্জাক বলেন, সম্পাদক শ্যামল দত্তের ডাইনামিক কিছু সিদ্ধান্তের কারণেই মহামারীর মধ্যে আমরা ভালো ভাবে চলতে পেরেছি। ভোরের কাগজের সুখ-দুঃখে সবাই সব সময় পরিবারের সদস্য হয়েই পাশে থাকবেন বলে বিশ্বাস করি। সম্মেলনের শেষ দিকে প্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাবে শ্যামল দত্ত বলেন, পূর্বেই ঘোষণা দেয়া ভোরের কাগজ কল্যাণ সমিতির কাজ করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটির কাজও এগিয়ে নেয়া হবে। কল্যাণ সমিতির কাজ প্রক্রিয়াধীন শুনে হাসি মুখে সবাই অডিটরিয়াম হল ত্যাগ করে বিকালের নাস্তায় যোগ দেন। এ সময় সবার মুখেই ফুটে ওঠে ভোরের কাগজকে ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে নিজেদের পরিকল্পনার কথা। তাদের এ কথার মতোই অচিরেই সর্বাধুনিক মিডিয়া হাউজে রুপান্তরিত হবে ভোরের কাগজ, এটিই সবার প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App