নওগাঁর মান্দায় অব্যাহতভাবে চাঁদা দাবি, প্রাণনাশসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকিতে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে তার টিনসেডের গুদামঘর ভাঙ্চুর ও স’মিলে হামলা চালানো হয়েছে। হুমকির কারণে তিনি সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি দেলোয়ার হোসেন উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। পাঁজরভাঙ্গা বাজারেই হার্ডওয়্যারসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। আজ রোববার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ি দেলোয়ার হোসেন এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাঁজরভাঙ্গা বাজারের মৃত বয়েন উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম বসতবাড়ি নির্মাণের সময় আমার দোকান থেকে রড, সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করেন। লেনদেনের শেষ পর্যায়ে রেজাউল ইসলামের নিকট পাওনা দাঁড়ায় প্রায় ৮ লাখ টাকা। কয়েক দফার হালখাতায় কিছু টাকা পরিশোধ করলেও তার নিকট এখনও ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পাওনা টাকা পরিশোধ না করেই রেজাউল ইসলাম আমার নিকট দুই লাখ টাকা দাবি করছে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় আমার টিনসেডের একটি গুদামঘর ভাঙ্চুর করেছে রেজাউল ইসলাম ও তার লোকজন। এ ঘটনায় আমি মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এরপর থেকে রেজাউল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত সোমবার আমার ছোট ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের স’মিলে রেজাউলের লোকজন হামলা ও শ্রমিকদের মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে সটকে পড়েন তারা। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে হয়নারীসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনে বারবার চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ি দেলোয়ার হোসেনের একটি অভিযোগ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবারের মারপিটের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পৃথকভাবে অভিযোগ করেছেন। বিষয়গুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।