×

সারাদেশ

নিজস্ব জনবলে শ্রীকাইল গ্যাসকূপ উন্নয়ন করল বাপেক্স

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০৭:৪২ পিএম

নিজস্ব জনবলে শ্রীকাইল গ্যাসকূপ উন্নয়ন করল বাপেক্স

গ্যাসকূপ। ফাইল ছবি

বিদেশি পরামর্শক ছাড়াই নিজস্ব জনবলে কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রে কূপ উন্নয়ন করল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে দৈনিক আরও ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিকে নয়, বরং বাপেক্সকেই কাজে লাগাতে হবে।

বিদেশি কোনো পরামর্শক ছাড়াই নিজস্ব জনবল দিয়ে নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই কূপ উন্নয়নের কাজ শেষ করেছে বাপেক্স। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়নি। ৯০ দিন সময় ছিল, ৫১/৫২ দিনের মধ্যেই উনারা কাজটা সম্পন্ন করেছেন।

সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের এক নম্বর কূপ ঘিরেও। প্রসেস প্লান্টের প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এ কূপে গ্যাস মিললেও পাইপলাইন না থাকায় এখনও তা যুক্ত করা যাচ্ছে না জাতীয় গ্রিডে। জ্বালানি বিভাগের আশা, ৫ মাসে পাইপলাইন নির্মাণ করে গ্যাসক্ষেত্রটির এক নম্বর কূপ থেকে সরবরাহ করা যাবে দৈনিক ১০ মিলিয়ন গ্যাস। সব মিলিয়ে এপ্রিল-মে মাসে গ্যাসক্ষেত্রটি যোগান দিতে পারবে দৈনিক ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস।

শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র থেকে নতুন করে গ্যাস পাওয়াকে সংকটের বিপরীতে আশার আলো হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিগুলোর তুলনায় বাপেক্সই সক্ষম, সেটির প্রমাণ বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।

ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, যে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে তার কোনো প্রয়োজন নাই। এভাবে যদি বাপেক্স তার কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে গ্যাসের সংকট কমবে এবং উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি কমে যাবে।

২০০৪ সালে কূপ খনন হলেও গ্যাস মিলেনি। পরবর্তীতে ২০১২ সালে কূপ ২ খননের মাধ্যমে গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে বাপেক্স।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App