‘লেখকের দর্শন বুঝে চরিত্র গঠন করি’
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৩:১৭ পিএম
এ বি এম সুমন
এ বি এম সুমন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় অভিনয় করে ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন দর্শক হৃদয়ে। বর্তমানে তিনি ‘গিরগিটি’ ও ‘হৃদিতা’ নামক দুটি সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়াও ‘মাসুদ রানা’ সিরিজে নাম ভ‚মিকায় অভিনয় করবেন সুমন। এটির কাজ বর্তমানে অপেক্ষমাণ। সম্প্রতি ভোরের কাগজের মেলা’র মুখোমুখি হন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলেছেন শাকিল মাহমুদ
‘হৃদিতা’ ও ‘গিরগিটি’র শুটিং প্রসঙ্গে ‘হৃদিতা’র এ লটে নায়িকার বাড়ির শুট হয়েছে। সে হিসেবে আমার একদিনের কাজ হয়েছে। আগামী মাস থেকে আমার গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শুরু হবে। এছাড়া সৌরভ কুন্ডুর ‘গিরগিটি’ সিনেমায় কাজ করছি। সিনেমার বেশিরভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে। করোনার কারণে কিছু অংশের শুট বাকি আছে। এছাড়া আমাদের একজন অভিনেতা অসুস্থ থাকায় ‘গিরগিটি’র শুটিংও আপাতত বন্ধ। তিনি সুস্থ হলেই বাকি কাজটুকু শেষ করা হবে।
‘গিরগিটি’তে কাজের অভিজ্ঞতা ‘গিরগিটি’ মূলত আমাদের একটি ফ্যামিলি প্রোডাকশনের মতো। সহ-অভিনেতা, নির্মাতা, ক্যামেরা পরিচালক প্রত্যেকেই বন্ধু হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া একটি তরুণ টিম। গোটা টিম মিলেমিশে পরিপূর্ণ একটি কাজ বের করে এনেছি। সব মিলিয়ে ‘গিরগিটি’র সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা মজার এবং চমৎকার।
পূজা চেরী এবং পূর্ণিমা বৃষ্টির সঙ্গে কাজ পূর্ণিমা বৃষ্টির সঙ্গে আমি এখনো স্ক্রিন শেয়ার করি নি। তবে ‘গিরগিটি’তে নেয়া তার বেশ কিছু ফুটেজ দেখেছি। দেখে মনে হলো, সে অভিনয়ে বেশ পরিপক্ব একজন শিল্পী। এদিকে পূজা ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ভালো প্রজেক্টে কাজ করেছেন। সেগুলোর একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এসব মিলিয়ে দুজন অভিনয়শিল্পীই আমার জন্য বেশ সহযোগীপরায়ণ এবং দায়িত্ববান।
‘মাসুদ রানা’ নিয়ে প্রস্তুতি ‘মাসুদ রানা’ নিয়ে এ মুহ‚র্তে কোনো প্রস্তুতি নেই। করোনার এ সময়ে একটি পরিপূর্ণ সমাধান না হলে কিছু সম্ভব হচ্ছে না।
অভিনেতা হিসেবে দায়িত্ব আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে একেকজন নির্মাতার সাইকোলজি একেক রকম। আমি তেমন করে সবার সঙ্গে কাজ করিনি। ফলে সবার সাইকোলজি এখনো আমার অজানা। তবে যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তারা বেশ স্বপ্নবিলাসী। এবং এই নির্মাতাদের প্রত্যেকের প্রথম কাজের অংশীদার আমি। আমার জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি নির্মাতারা তাদের প্রথম প্রজেক্টে আমাকে নিয়ে যে ঝুঁকি নিয়েছেন তা সর্বোচ্চ অভিনয় নৈপুণ্যতা দিয়ে দূর করতে। দুর্ভাগ্যবশত আমার বেশ কিছু সিনেমা মুক্তি পায়নি! তবে ‘ঢাকা অ্যাটাক’এ দর্শকের ভালোবাসা খানিকটা হলেও যেমন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, তেমনই হয়তো নির্মাতাদেরও ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা বাড়িয়েছে। যার ফলে তাদের প্রথম প্রজেক্টে আমাকে ভেবেছেন এবং কাজে যুক্ত করেছেন।
চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ দিক আমি যে চরিত্রটি গড়ে তুলব তা লেখক কোন দর্শন থেকে লিখেছেন তা জানার চেষ্টা করি। এরপর সে দর্শন অনুসারে পুরো গল্পের একটি চিত্র মাথায় নিয়ে একটি বডি তৈরি করি। মূলত মেথড অ্যাক্টিংয়ের গোটা ফর্মুলায় আমি একটি চরিত্র গঠন করে নির্মাতার কাছে উপস্থাপন করি।
ছোটবেলার ইচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আগ পর্যন্ত ইচ্ছে ছিল আইন নিয়ে পড়াশুনা করব। এখানে পড়াশুনা শেষ করে লন্ডন গিয়ে পড়াশুনা করে দেশে ফিরে ব্যারিস্টার হবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হতে পারিনি। ফলে সে ইচ্ছে সেখানেই থেমে যায়।
মডেলিংয়ে যুক্ত হওয়ার গল্প তখন আমি ওয়ার্ক আউট করতাম, আড্ডা দিতাম আর ব্যবসা করার প্ল্যান করছিলাম। ওয়ার্ক আউট করতাম বসুন্ধরা সিটিতে। সেখানে আমির ভাই নামে একজন বলতে, মডেলিং করার জন্য। তিনিই তার বন্ধুকে আমার ছবি দেখান। এর আগে রিয়াজ ভাই নামের একজন পুশ করতেন মডেলিংয়ের জন্য। এই দুজনের অনুপ্রেরণায় আমার মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।