×

সারাদেশ

দুই টার্ম নির্বাচন হয়নি বাউফলের চারটি ইউনিয়নে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৮:২০ পিএম

দুই টার্ম নির্বাচন হয়নি বাউফলের চারটি ইউনিয়নে

ফাইল ছবি

ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার কৌশলে আইনি জটিলতায় নয় বছর পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে না বাউফল পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়ন পরিষদের। দীর্ঘদিন পর্যন্ত নির্বাচন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় থাকায় জনগণ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, নাজিরপুর, দাসপাড়া, বাউফল এবং মদনপুরা ইউনিয়নের নির্বাচন ২০১১ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে ২০১২ সালের ২২ মে বাউফল পৌরসভা নির্বাচন হয়। এরপর পৌরসভাকে দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উন্নীতকরণেরর চেষ্টা করা হয়। এ সময় পৌরসভা সংলগ্ন নাজিরপুর, দাসপাড়া, মদনপুরা এবং বাউফল সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ কেটে বাউফল পৌরসভার সঙ্গে অর্ন্তভূক্ত করে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার আবেদন করা হয়।

আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাউফল পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করেন। গেজেট প্রকাশ হলে দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এম.এন. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, দাশপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. কুদ্দুচ, মজিবর রহমান, খলিলুর রহমান, বাউফল ইউনিয়নের খালেক প্যাদা এবং ফারুক হোসেন সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর উচ্চ আদালত একটি রিট টি শুনানির জন্য রেখে বাকি রিট আবেদনগুলো খারিজ করে দেন।

জনশ্রুতি রয়েছে, বাউফল পৌরসভার মেয়র পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল বাউফল পৌরসভার নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল নিয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদে অন্যদের দিয়ে ওই রিটগুলো করান। এর ফলে বাউফল পৌরসভা এবং নাজিরপুর, মদনপুরা, বাউফল এবং দাসপাড়া ইউনিয়নের নির্ধারিত নির্বাচনের দুই টার্ম অতিবাহিত হয়ে গেছে।

বাউফল সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচন এলে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের অধিকারের প্রতিফলন ঘটান। কিন্তু কৌশলে আইনি জটিলতায় ফেলে বাউফলের চারটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকায় জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত খান ছানা জানান, আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছি না। এর ফলে যারা ক্ষমতায় রয়েছেন তাদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি।

বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার জানান, প্রতি চার বছর পর নির্বাচন এলে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারেন। কিন্তু আইনি জটিলতায় জনগণ সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ জানান, মানুষের অধিকারকে আইনের কাঠগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশ্যই এটা হীন মানসিকতা। যাদের ইন্ধনে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, তাদের মন দুর্বল। তারা নির্বাচনে পুনরায় জিততে পারবেন না বলেই এগুলো করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারন মানুষ আইনি জটিলতার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত নির্বাচন দাবি করে আসছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App