×

সারাদেশ

হঠাৎ করেই গুটিয়ে নেয়া হলো পুলিশ ক্যাম্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫৬ পিএম

সন্ত্রাসের জনপদ ও মাদকের হটস্পট কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ এলাকা থেকে হঠাৎ করেই গুটিয়ে নেয়া হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। এই পুলিশ ক্যাম্প সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ওই স্থানে র‍্যাবের সাব-ক্যাম্প ছিল। পরে র‍্যাব ক্যাম্প স্থানান্তর করা হলে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়। পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা যায়, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৌলতপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী সন্ত্রাস কবলিত ফিলিপনগরে সিপিসি-১২ কুষ্টিয়ার অধীনস্ত র‍্যাবের সাব-ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। তবে বছর তিনেকের মধ্যে সেখান থেকে সন্ত্রাসের জনপদ ও মাদকের হটস্পট হিসেবে পরিচিত হোসেনাবাদ এলাকায় র‍্যাবের এই সাব-ক্যাম্প সরিয়ে নেয়া হয়। এ জন্য বেছে নেয়া হয় হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অব্যবহৃত একটি আবাসিক ভবনকে। ওই ভবন থেকে দীর্ঘদিন ধরে র‍্যাব ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল।

বছর পাঁচেক আগে হোসেনাবাদ থেকে র‍্যাবের সাব-ক্যাম্পটি অনত্র স্থানান্তর করা হয়। এতে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়। একই সঙ্গে মাদক পাচারের প্রবণতা বেড়ে যায়। পরে একই স্থানে বসানো হয় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। পুলিশ ক্যাম্প বসানোতেও এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) হোসেনাবাদের এই পুলিশ ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়া হয়। পুলিশ ক্যাম্পটির আইসি এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে দৌলতপুর থানায় যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত টুআইসিসহ পুলিশের অন্য সদস্যদের দৌলতপুর থানা ও মথুরাপুর ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে হোসেনাবাদ পুলিশ ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্য নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ। এলাকাবাসী বলছেন, পুলিশ ক্যাম্প তুলে নেয়ায় সেখানে আবারো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশপাশি হোসেনাবাদের পেছনেই পদ্মা নদী অবস্থিত হওয়ায় এই নদী পথটি খুব সহজেই মাদক পাচারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ে উঠবে। এটিই হচ্ছে ওই এলাকার মাদক পাচারের অন্যতম নিরাপদ রুট। আর এর উৎসমুখেই ছিল এই পুলিশ ক্যাম্প। পুলিশ ক্যাম্পটি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

পুলিশ ক্যাম্প সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সারা দেশের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মথুরাপুর ক্যাম্পে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মথুরাপুর ক্যাম্পই ওই এলাকাটি কভার করবে।

প্রসঙ্গত, পাশের জেলা মেহেরপুরের চেয়েও আয়তনে বড় দৌলতপুর উপজেলা। এ উপজেলায় বর্তমানে পুলিশ ক্যাম্প ৭টি। এর মধ্যে ৪টি স্থায়ী ও ৩টি অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App