×

সারাদেশ

যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, সন্তানসহ মা হাসপাতালে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১০:৩৫ পিএম

যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, সন্তানসহ মা হাসপাতালে
যৌতুকের দাবী তুলে নির্যাতন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ১০ মাসের সন্তানসহ নির্যাতিত সালমা। দেখতে আসেনি স্বামীর পরিবারের কেউ। ৩ বছর যাবৎ প্রেম, তারপর বিয়ে। প্রায় ৪ বছর আগে নিয়ম-নীতি মেনেই বিয়ে হয় কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বদরপুর গ্রামের ময়নাল হকের মেয়ে সালমা (২২) এবং একই উপজেলার মদনের চরের ফাঁটকপাড়া গ্রামের নয়া মিয়া ও মর্জিনার ছেলে মমিনুলের (২৫)। তবে প্রেমের সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি মমিনুলের পিতা-মাতা। বিয়ের পর থেকেই শশুর-শাশুরী অকারণে সালমার ওপর চালাতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। গালি-গালাজ করতো প্রায় সময়ই। মাঝে মাঝে দাবী তুলতো যৌতুকের। এ নিয়ে চরম মানসিক যন্ত্রণায় ভূক্ত সালমা। মেয়ের সুখের জন্য সালমার পিতা এলাকার গন্যমাণ্য মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে ১ লক্ষ্য টাকাও দিয়েছে মমিনুলের পরিবারকে বছর দু’য়েক আগে। অভিযোগে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর মমিনুলের পরিবার আবারও দাবী তোলে যৌতুকের, শুরু হয় নির্যাতন। পাড়া-প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করে সালমাকে ঘরবন্ধী করে নানা ধরণের ভয়-ভীতি দেখায়। ২২ নভেম্বর রাতে আবারও মারপিট করে। ২৪ নভেম্বর বাপের বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকার জন্য ঘর থেকে বের করে দেয় স্বামী মমিনুল ও শাশুরী মর্জিনা বেগম। বাপের বাড়ীতে এসে সালমা বিস্তারিত ঘটণা খুলে বললে শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখে দ্রুত রাজিবপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সে এখন রাজিবপুর হাসপাতালে সন্তানসহ চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে সালমার পিতা বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর রাতে রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ সম্পর্কে অভিযুক্ত মমিনুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আগে একবার টাকা দিয়েছে। ও সব সময় খারাপ আচরণ করে। তাই চর-থাপ্পর দিছি। টাকা চাই নাই। পারিবারিক ভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হইছে। আমার বাবা-মার বিরুদ্ধে মিথ্যা কইছে। তারা কিছুই করে নাই। এ বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App