×

খেলা

ম্যারাডোনা : এক উজ্জল নক্ষত্রের কালো অধ্যায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১১:৫১ পিএম

ম্যারাডোনা : এক উজ্জল নক্ষত্রের কালো অধ্যায়

বুয়েন্স আয়ার্স বিমান বন্দরে কোকেনসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ম্যারাডোনা

মৃত্যুর মাধ্যমে অবসান ঘটেছে ফুটবল ইতিহাসের এক কিংবদন্তির। এক উজ্জল নক্ষত্রের। আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলার নিজ দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। তার আগমনে কম শক্তিশালী দল নাপোলি জিতেছিল ইতালিয়ান শিরোপা ও উয়েফা ইউরোপা লিগের শিরোপা। আর তার এমন কীর্তির কারণে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের উপরের দিকেই রাখেন ফুটবল সমর্থকরা। তবে ফুটবলে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া ম্যারাডোনার জীবনে রয়েছে এক কালো অধ্যায়। আর সেটি হলো মাদকে আসক্ত ছিলেন তিনি। এই মাদকের কারণে বেশ আগেই তাকে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানতে হয়েছিল। ম্যারাডোনা কোকেনের নেশায় আসক্ত হয়ে পরেন। তিনি কোকেনের সংস্পর্শে আসেন ৮০ এর দশকে। জানা যায় ১৯৮২ সালে তিনি কোকেনে আসক্ত হয়ে পরেন। তবে তার কোকেন আসক্তির কথা কেউ জানত না। তিনি ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন। তবে ১৯৯১ সালে তিনি ধরা পরে যান নাপোলির করা এক পরীক্ষায়। আর এ কারণে তাকে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে তখন তিনি ছিলেন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সেই বছরই আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স বিমানবন্দরে আধা কেজি কোকেনসহ ধরা পরেন তিনি। এ কারণে আরো ১৪ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে। এরপর ১৯৯৪ সালে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। আমেরিকাকে হওয়া বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। তবে সেই বিশ্বকাপেই ফের মাদক পরীক্ষায় ধরা পরেন। ফলে বিশ্বকাপের মাঝ পথে তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে খেলা শুরু করেন। কিন্তু এখনেও মাদক পরীক্ষায় ধরা পরে যান। ৬ বছরের মধ্যে ৩ বার তিনি ধরা পরেন। আর এরপরেই তার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। ২০০০ সালে তিনি এতটাই আসক্ত ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। পরে তিনি কিউবায় গিয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হন। আর সেখানে কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রোর ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা নেন। আর এরপরই ম্যারাডোনা মাদক ছেড়ে দেন। তবে মাদক গ্রহণের কারণে তার মধ্যে যে শারীরিক জটিলতা ছিল তার জন্য তিনি সারাজীবনই ভোগেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App