×

জাতীয়

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিরাষ্ট্রীয়করণের চেষ্টা বন্ধের দাবি স্কপের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০৫:৩০ পিএম

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিরাষ্ট্রীয়করণের চেষ্টা বন্ধের দাবি স্কপের

ফাইল ছবি

বন্ধ পাটকলসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু, আইন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, আই.এল.ও কনভেনশন অনুযায়ী, শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নসহ স্কপের ৯ দফা দাবির সমর্থনে দেশব্যাপী দাবি দিবস পালন করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ- স্কপ।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দিবস পালনের অংশ হিসেবে- স্কপ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে সকাল ১১টায় মতিঝিলের বক চত্তরে শ্রমিক সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়, সিটি সেন্টার, শাপলা চত্তর সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। স্কপের দাবির মধ্যে আরো ছিল-ব্যাংক-বীমা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে আউট সোর্সিং বন্ধ করে ৩য়-৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর স্থায়ী নিয়োগ প্রদানের দাবিতে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুন নাহার, বাংলাদেশ জাতীয় ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, ব্যাংক এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, পুবালী ব্যাংক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন-সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, উত্তরা ব্যাংক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন-সিবিএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, টি এন্ড টি শ্রমিক ইউনিয়নের মহাসচিব খুরশিদ আলম, বি.আই.ডাব্লিউ.টি.সি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শফিউল আলম বুলু, সরকারী কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল।

নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে দুর্বল করার চক্রান্তের অংশ হিসাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের উপর দূর্ণীতির অপবাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলিতে ৩য়-৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়ে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ায় ব্যাংকগুলিতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। ফলাফল হিসাবে ব্যাংকগুলি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা অবাধে লুটপাট হয়ে ব্যাংকগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। মাত্র ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকলগুলিকে আধুনিকায়ন করার পরিবর্তে লোকসানের অভিযোগ তুলে আমলাতন্ত্রের দূর্ণীতির দায় শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যাক্তি মালিকদের লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। একইভাবে চিনিকলসমূহ বন্ধ করার প্রচেষ্টা চলছে। তৎকালীন সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতির প্রতিরোধে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের জন্ম একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন থেকে আজকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্রমিকদের শ্রম-রক্ত-ঘামের বিনিময়ে অর্জিত। শ্রমিকদের সৃষ্টি সম্পদ তাদের বঞ্চিত করে শিল্প মালিকদের হাত তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা স্কপ মেনে নেবেনা।

নেতৃবৃন্দ, করোনাকালে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও উপার্জনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের কল্যানের জন্য কাজ করা সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর এবং শ্রম পরিচালকের অধিদপ্তরের দায়িত্ব হলেও এই সকল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সম্পদ সৃষ্টিকারী শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে ব্যাক্তিগত সুবিধা নিয়ে মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। নেতৃবৃন্দ, আই.এল.ও কনভেনশনের অনুসরণে শ্রম আইন ও বিধিমালার সংশোধন করার জোড় দাবি জানিয়ে স্কপের ৯ দফা মেনে নেওয়ার আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রানের ৯দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App