×

জাতীয়

রাজধানীতে গায়ে অকটিন ঢেলে আগুন দেয়ার অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০৬:২০ পিএম

রাজধানীতে গায়ে অকটিন ঢেলে আগুন দেয়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর জুরাইনে একটি পেট্টোল পাম্পে রিয়াদ হোসেন (২০) নামে এক কর্মচারীকে গায়ে অকটিন ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটি ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জুরাইন কমিশনার মোড়ের নবারন গলির ১৩২৭/১ নম্বর বাসায় পরিবারের সাথে থাকতো রিয়াদ। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় সে। চলতি বছরই রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়।

তার বাবা গাড়িচালক ফরিদ মিয়া জানান, মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে পার্টটাইম চাকরী হিসেবে চলতি মাসের ৪তারিখেই এস আহমেদ (সালাউদ্দিন আহমেদ) নামে ওই পাম্পে যোগ দেয় রিয়াদ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকেই পাম্পের লোকজন আমাদের ফোন দিয়ে জানায় রিয়াদ দগ্ধ হয়েছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে আমরা হাসপাতালে এসেই রিয়াদকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছে সে।

তিনি জানান, পাম্পের ইমন নামে এক কর্মচারীকে ডাকতে যাওয়ার কারণেই ইমন রিয়াদকে গায়ে অকটিন ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে আর কি ঘটনা ঘটেছে তা বলতে পারছিনা।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজুল ইসলাম জানান, এস আহমেদ নামে পেট্টোল পাম্পে ৪জন অপারেশটর রাতে ডিউটি ছিলো। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন (২২) নামে এক অপারেটর ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রিয়াদ তাকে ডাকতে যায়। সে না উঠলে বোতলের মুখায় করে সামান্য একটু অকটিন ইমনের গায়ে ছিটিয়ে দেয় রিয়াদ। পরে রিয়াদ ঘুম থেকে জেগে আড়াইশ মিলিগ্রামের একটি বোতলে করে অকটিন ভরে ইমনের গায়ে ঢেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ইমন। এতে রিয়াদের শরীরে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। পরে পাম্পের কর্মচারীরাই তাকে ভোরেই উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটাউটে ভর্তি করায়।

ওসি আরো জানান, এই ঘটনায় রিয়াদের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ইমন সহ অপর দুই অপারেটর মো. ফাহাদ আহমেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, রিয়াদের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App