ভূমি বিরোধের জেরে ৫০টি পেঁপে গাছ কেটে দিলো জাহাঙ্গীর
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২০, ০২:৫৩ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি
ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের মাহাতা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বাড়িতে ঢুকে প্রায় ৫০টি পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে স্থানীয় মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৪৪) ও তার লোকজন। শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলার মাহাতা গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৬৩) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় একই গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৪৪), মোহাম্মদ রহিম (২৪), মোহাম্মদ করিম (৩০) কে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোহাম্মদ আলী।
আনোয়ারা থানার সহকারী পুলিশ পরির্দশক নয়ন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলেছিলো। এর জের ধরে বাড়িতে ঢুকে পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে। তবে দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছেন। দু’পক্ষকে আগামী ২৭ নভেম্বর থানায় ডাকা হয়েছে।
বাদী মোহাম্মদ আলী জানান, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। এই বাড়িটি আমার পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে আমার দখলীয়। এ সম্পত্তি আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলেরা জোর পূর্বক দখলের চেস্টা করে আসছে। এ নিয়ে পটিয়া কোটে মামলাও করি। এসবের জের ধরে আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দ্যেশে এরা হামলা চালিয়ে বাড়ি বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতরে ঢুকে পেঁপে গাছ গুলো কেটে দিয়েছে। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ২০১৭ সালে বিট পুলিশের উপর হামালার ঘটনার চার্জশীর্টভূক্ত আসামী। দীর্ঘদিন সে জেলেও ছিলো। এখন জামিনে এসে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা কর্মকা- চালাচ্ছে। এছাড়াও গতকালকে আবার আমাদের জমি এটা দখলে নিয়ে সেখানে মাটি ভরাটও করছে। আমরা খুবই আংতকের মধ্যে আছি পরিবার পরিজন নিয়ে।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মোহাম্মদ রহিম বলেন, আমার ভাই আসামী ঠিক আছে। কিন্ত মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। তবে বাড়ির গাছ কারা কেটে দিয়েছে আমরা জানি না। আমাদের গাছও এরা কেটে দিয়েছে। এটা নিয়ে থানায় আমরাও একটি অভিযোগ করেছি।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনর্চাজ এস.এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনার আসামী কিনা সেটা আমার জানা নেই। দেখে জানাব বিষয়টা। ভূমি বিরোধের জেরে গাছ কাটার ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।