×

সারাদেশ

প্রেমিক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২০, ১০:২৩ পিএম

প্রেমিক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন!
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে এক পুলিশ কনষ্টেবলের বাড়িতে তার প্রেমিকা বিয়ের দাবি নিয়ে দুদিন ধরে অবস্থান করছে। প্রেমিকার বাড়ি রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৩ নং ওয়ার্ডের শরেয়ারতল গ্রামে। এ ঘটনায় জয়কুমর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর গড়ের পাড় মৌজার অমল চন্দ্র রায়ের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল আনন্দের সাথে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৩ নং ওয়ার্ডের শরেয়ারতল গ্রামের ঝন্টু রায়ের কিশোরী কন্যা রুপালি রানীর ৪ বছর আগে পরিচয় হয়। প্রেমিকা রুপালি রানী ( ১৬) এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে আনন্দের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি উভয় পরিবারের মাঝে জানাজানি হলে, ৩ লাখ টাকা যৌতুকে হিন্দু সম্প্রদায়ের রীতি মেনে বিয়ের আলোচনাও চুড়ান্ত হয়। কিন্তু মাঝখানে তাদের দু'জনের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে রুপালি জানতে পারে তার প্রেমিক আনন্দের অন্যত্র ১২ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে চুড়ান্ত করেছে । এ খবর জানার পর (১৫ নভেম্বর) রবিবার স্বেচ্ছায় বিয়ের দাবিতে আনন্দের বাসায় অবস্থান নেন কিশোরী রুপালি। কিশোরীটি অভিযোগ করে বলেন, আনন্দ এর আগে তাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় তার পিসতাতো ভাইয়ের বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছা বিরুদ্ধে শারিরীক সম্পর্কে মিলিত হয়। ঐ সে বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে তাকে বিয়ে না করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। এরপর গত ২২শে আগস্ট আবারো বিয়ে করার চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের আত্মীয় বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে। এসময় বিয়ের কথা বললে আনন্দ নানা টালবাহানা করে। এরপর থেকে কিশোরীটির সাথে সে দুর্ব্যবহার শুরু করে আনন্দ। শনিবার আনন্দের বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে বলেন, "আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন টুকু শেষ করে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। স্থানীয় সাংবাদিকরা আনন্দের বাসায় মেয়েটির সাথে দেখা করতে গেলে আনন্দের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে । পরে আনন্দের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ সাংবাদিক শব্দ শুনেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলুর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে আছে। ১৬ নভেম্বর সোমবার রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কম। এছাড়া ওই ছেলের সাথে অন্য মেয়ের বিয়ের আশীর্বাদ পর্যন্ত হয়ে আছে । এ মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌচ্ছানোর জন্য আলোচনা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App