×

সারাদেশ

দেড় বছরেও অধরা স্কুল শিক্ষিকা হেলেনের হত্যাকারীরা

Icon

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২০, ০৪:০১ পিএম

দেড় বছরেও অধরা স্কুল শিক্ষিকা হেলেনের হত্যাকারীরা

স্কুল শিক্ষিকা হেলেন

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামে মুঞ্জুয়ারা (৩৮) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে ২৪ জুলাই ২০১৯ সালে তার নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে রেখেছিল দুর্বৃত্তরা। নিহত মঞ্জুয়ারা গুপিনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত নাজির উদ্দিনের মেয়ে। নাজিরপুর বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করতেন। এব্যাপারে গুরুদাসপুর থানায় মামলা নং ১০ ২৪ জুলাই ১৯ ইং ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড,জি আর নং ১০২/১৯ (গুরু) রুজু করা হয়েছিল। নিহত মঞ্জুয়ারার পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, মামলাটির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে থানা থেকে মামলাটি প্রতাহার করে ডি.আই.জি রাজশাহী রেঞ্জ গোয়েন্দা সংস্থায় নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রধান আসামমি মমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতেই আছেন। বাকি আসামিরা একই গ্রামের হুকুমদাতা মনছুর রহমান, মোস্তফার ছেলে আহসান, আকবরের ছেলে হামজা প্রকাশ্যেই ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন এখনও। স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের ডা. মো.মনছের আলীর ছেলে মমিন (৪৫) এর সাথে ২৫ বছর পূর্বে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ওই শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দুই বছরের মাথায় নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর বহু কষ্টে লেখাপড়া শেষ করে ৪ জানুয়ারি ২০১০ সালে বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। তার একমাত্র মেয়ে নবম শ্রেণিতে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় লেখাপড়া করায় তার বাবার কাছেই থাকতো। আর শিক্ষিকা মুঞ্জুয়ারা তার বুদ্ধা মাকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকতেন। বর্তমানে মেয়েটি তার বৃদ্ধা নানী এই মামলার বাদী মনোয়ারার কাছেই রয়েছেন। ঘটনার রাতে তিনি বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। তখন মুষলধারে বৃষ্টিও হচ্ছিল। দুর্বৃত্তরা ওই সুযোগে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে বাড়ির পাশেই পুকুরে ফেলে রেখে যায়। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এর রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, মামলাটি গোয়েন্দা শাখায় আছে। এখনো আমার কাছে আসেনি। আশা করছি খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদনটি আসবে। হাতে পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App