×

সারাদেশ

চরফ্যাশনে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ১৪ জনের জাবজ্জীবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২০, ০৪:১৭ পিএম

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় চাঞ্চল্যকর আবদুর রশিদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামিকে জাবজ্জীবন কারাণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় এ রায় দেন চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। এসময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

রায়ের তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উত্তর ফ্যাসন গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মিয়ার সাথে দির্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন আবুল বাশার, নুর হোসেন, নোমানসহ মোট ১৮ ব্যক্তির সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলমান ছিল। ওই জমি জমাকে কেন্দ্র করে গত ২০১৩ সালের মে মাসের ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় আবদুর রশিদ বাড়ি থেকে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন সীমান্ত এলাকায় লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা বাড়ি সংলগ্ন সুপারি বাগানের কাছে ধারালো দা’সেনি দিয়ে কুপিয়ে ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আবদুর রশিদকে হত্যা করে।

এঘটনায় ২০১৩ সালে চরফ্যাশন থানায় ১৮জনকে আসামি করে নিহতের ভাই মো. হানিফ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১৪ জন আসামিকে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত জাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদাণ করেছে। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে ৭ জন কারাগারে থাকলেও বাকি ৭ জন পলাতক রয়েছে। এছাড়াও বাকি ৪ আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মো.আমিনুল ইসলাম সরমান এবং আসামি পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল হক,রমিজ উদ্দিন ও সিদ্দিকুর রহমানসহ স্টেট ডিফেন্স পক্ষে ছিলেন, মাইনুল ইসলাম সরমান।

রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট আমিনুল হক সরমান বলেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হত্যা মামলাটির তথ্য ও প্রমান বিশ্লেষণে প্রমান করতে সক্ষম হওয়ায় ১৪ জন আসামিকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত  করেন বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। এছাড়াও ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের মামলা থেকে খালাস প্রদান করেছেন।

তবে নিহত আবদুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার ছেলে মো. ইউনুস বলেন, আমার পিতার হত্যা মামলার রায়ে অন্তত প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের ফাঁসির রায় হবে আশা করেছিলাম। আমারা উচ্চ আদালতে যাব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App