×

সারাদেশ

হুজুরের নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি কওমীর ছাত্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১০:৪৭ পিএম

হুজুরের নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি কওমীর ছাত্র

ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্র আবু আইয়ুব আনছারি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্র আবু আইয়ুব আনছারি (৮) নামের এক ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকালের দিকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশু নির্যাতনের অভিযোগে রৌমারী থানা পুলিশ ১ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার জামি’আ ইসলামিয়া এমদাদুল উলূম রৌমারী কওমী মাদ্রাসার হেবজ বিভাগের ছাত্র।

রৌমারী হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক অলোক কুমার বলেন, রোগীর শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ছাত্রের বাবা আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে বড় একজন আলেম হওয়ার জন্য কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেই। সে ভালোভাবে পড়াশোনাও করছে। প্রায় দিন হুজুরের মোবাইল ফোনে ছেলের খোঁজ খবর নিই। কয়েক দিন থেকে আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেয় না হুজুর। ছেলের খবরের অপেক্ষার পর তার দাদির বাড়ি থেকে হঠাৎ ফোন দিয়ে আমাদেরকে আসতে বলে।

এমতবস্থায় আমরা এসে দেখি আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে মার পিটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। গুরতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করি। ছেলেকে আঘাতের কথা বাইরে প্রকাশ করতে নিষেধ করেন হুজুর। হুজুরদের এমন আচরণে ছেলেকে ওই মাদ্রাসায় পড়ানো মোটেই সম্ভব নয়। তারা মানুষ নয় অমানুষ। অসুস্থ ছাত্র উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে।

রৌমারীর ক্বওমি মাদ্রাসার সভাপতি কাবিল উদ্দিন জানান, অভিযুক্ত শিশু নির্যাতনকারী সহকারী শিক্ষক হাফেজ কারী রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষা সচিব জয়নাল আবেদীনকে কমিটির সিদ্ধান্ত মতে বহিস্কার করা হবে।

রৌমারী থানার অফিসার ইনর্চাজ ইমতিয়াজ কবির জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মাদ্রাসা পরিচালক নুরুল্লাহ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App