×

সারাদেশ

হাসপাতালে বেড সংকটে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি, মেলেনি অনুমোদন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ০৫:১৯ পিএম

হাসপাতালে বেড সংকটে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি, মেলেনি অনুমোদন

ছবি: প্রতিনিধি

ভোলার তজুমদ্দিন সরকারি হাসপাতালটিতে বেড সংকটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীরা। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ায় রোগীর ভিড় লেগেই থাকে প্রতিদিন। অনেক রোগীরা ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে তজুমদ্দিন উপজেলা হাসপাতলটি। এরপর থেকে জনসংখ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রোগীর চাপ বাড়লেও বাড়েনি হাসপাতালের বেডের সংখ্যা। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ায়  রোগীর চাপও বাড়ছে। গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালটিতে ৫০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। যে কারণে ৩১ শয্যার বাহিরের রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হয়। হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা ফ্লোরের ধূলা-বালি ও ঠাণ্ডা জনিত নতুন কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশংকা করছেন চিকিৎসকরা। রোগীর এমন চাপে ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ২০১৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নতি করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর আর্থিক ও জনবল সংকটের কারণে ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে ৫৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। বেডের বাইরে ২৭ জন রোগীকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে অতিরিক্ত বেড বিছিয়ে। কোন কোন রোগী মেঝেতে জায়গা না পেয়ে প্রবেশ পথে ও পাশের বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালের বহিঃবিভাগে ৩ শত থেকে ৪ শত জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নেয়া নুর নাহার ও সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে বেড না থাকায় আমাদের মতো অনেককে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। ফ্লোরের ধুলাবালি শরীরের সঙ্গে মিশে যায় এবং রাতে ফ্লোরের পাকা থেকে প্রচুর ঠান্ডা লাগে। তারপরও কিছু করার নেই। সুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসা নিতে হবে।

হাসপাতালে কর্মরত নার্স শারিকা বেগম বলেন, অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমাদের কষ্ট হয়। তবুও রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা সবাই নিরলসভাবে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

হাসপাতালের আরএমও ডা. হাসান শরীফ বলেন, ৩১ শয্যা হাসপাতালের জনবল দিয়ে অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা হিমশিহ খাচ্ছি। তবুও আমরা আমাদের মতো করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, একদিন এ সমস্যার সমাধান হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, আর্থিক ও জনবল কাঠামো অনুমোদন না থাকায় ৫০ শয্যা চালু করা যাচ্ছে না। তবুও কিছু করার নেই, বেড সমস্যার কারণে রোগী ফেরানো যাবে না। যত কষ্টই হোক রোগীদের সেবা দিতে হবেই। আর্থিক ও জনবল সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি লিখেছি। অনুমোদন পেলে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App