মাঝখানে কয়েকদিন বিরতি দিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্র। প্রভাবশালী ওই চক্রের বালু উত্তোলন ঠেকাতে লাগাতার অভিযান পরিচালনা করে আসছে স্থানীয় প্রশাসন।

তবে প্রশাসনের অভিযানে অভিযুক্তদের জেল-জরিমানা করা হলেও থেমে নেই তাদের এই অবৈধ তৎপরতা। সবশেষ বুধবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বালু উত্তোলনকারী চক্রের কয়েক সদস্য হাতেনাতে ধরা পড়েন। বিভিন্ন মেয়াদে তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

জানা যায়, বুধবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় গ্রামে পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলীর নির্দেশে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই তিনজনকে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দৌলতপু্ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কান্দিরপাড়া গ্রামের আমির প্রামাণিকের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৪০), পার্শ্ববতী ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল এলাকার আনিছ মণ্ডলের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০) ও আকমল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৬)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে ২ মাস ১৫ দিন এবং জিয়ারুল ও খাইরুলকে ২ মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিন ব্যক্তিকে আটক করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। পরেরদিন সকালে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পদ্মায় এ ধরনের অবৈধ তৎপরতার বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এর আগেও কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। সেসব অভিযানে এই চক্রের কয়েক সদস্যকে মোটা অঙ্কের অর্থ দণ্ড ও কারাদণ্ড প্রদান করা হলেও এখনো থেমে নেই তাদের এই অবৈধ তৎপরতা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পদ্মায় দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। একের পর এক প্রশাসনের অভিযানের পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না বালু উত্তোলনকারী শক্তিশালী ওই চক্রটিকে।