×

সারাদেশ

উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যু বলে কেউ থাকবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২০, ০৫:২৬ পিএম

উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যু বলে কেউ থাকবে না

বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি

উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যু বলে কেউ থাকবে না
বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া এলাকায় জলদস্যু বলে কেউ থাকবে না। উপকূলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই ভাবে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মসমর্পণকারীদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সাড়ে ৩ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে দেশকে উন্নয়নের যে পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩৪ জন জলদস্যুর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কতিপয় কিছু খারাপ ব্যক্তিদের কাছে জলদস্যু বনদস্যুরা প্রভাবিত হয়েছিল। তারা প্রতিজ্ঞা করে ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তাই উপকূল অঞ্চলে কোন জলদস্যুকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। তাদের ধরতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি চৌকশ দল হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন মাঠে। তাই কঠোর পরিণতিতে না গিয়ে আমি তাদের শান্তির পথে আসার পরামর্শ দিচ্ছি। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, এদেশে চোর ডাকাতদের স্থান হবে না। ক্রিমিনাল থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাজার হাজার অর্জন রয়েছে। কিছু খারাপ লোকের জন্য আমরা সে অর্জন কে ম্লান হতে দেব না। সুন্দরবনে ২৫ লক্ষ মানুষ সুন্দর জীবনযাপন করছে। সেখানে সামাজিক শান্তি ফিরে এসেছে। অর্থনৈতিকভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিশাল কর্মের মহাযজ্ঞ চলছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বাঁশখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, বাঁশখালী, চকরিয়া এই ৫ উপজেলার ৩৪ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করছেন। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হলেন- মহেশখালীর বাইশ্যা বাহিনী ও ফুতুক বাহিনীর মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত (৫২), মো. আহামদ উল্লাহ (৪২), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর (৪৭), মো. দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (২৬), মো. মিজানুর রহমান (২৩), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা (২৯), মো. বেলাল মিয়া (৩০), মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাক্কু (৩৫), মো. রশিদ মিয়া (৩৬)। কুতুবদিয়ার খলিল বাহিনীর সদস্য, আব্দুর রহিম (৬৪), মো. মাহমুদ আলী ওরফে ভেট্টা, মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৬), মো. ইসমাইল (২৪), সাহাবুদ্দিন ওরফে টুন্নু (৩২) এবং বাঁশখালীর রমিজ বাহিনীর মো. ইউনুস (৫৬), মো. তৌহিদ ইসলাম (৩৪), মো. ফেরদৌস (৫২), মো. রেজাউল করিম (৪০)। এ ছাড়া পেকুয়ার বাদশা বাহিনীর মো. নিজাম উদ্দিন ভাডারী, মো. ইউনুস (৫১), মো. কামাল উদ্দিন (৪৭), মো. আব্দু শুক্কুর (২৮), মো. ইউনুচ (৪২), জিয়া বাহিনী ও নাছির বাহিনীর সাহাদাত হোসেন (দোয়েল) (৪১), মো. পারভেজ (৩৩), মো. নাছির (৫১), আমির হোসেন (৪৮), মো. সাকের (৪০)। এ ছাড়া আত্মসমর্পণ করেছেন চকরিয়ার কালাবদা বাহিনীর মো. সেলিম বাদশা (৩৪), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৩১), মো. মামুন মিয়া (২৭) ও মো. মন্জুর আলম (৪২)। এছাড়া তাদের কাছে থাকা দেশি বিদেশি মোট ৯০টি, এলজি ৪১টি, থ্রি কোয়াটার এলজি ১৯টি, বিদেশি পিস্তল ১টি, রিভলভার ১টি, এসবিবিএল ৫টি ডিবিবিএল বন্দুক ১টি, ওয়ান শুটার ১টি, থ্রি কোয়াটার ওয়ান শুটার ১টি, এসএসবিববিএল ওয়ান শুটার ১টি, পাইপগান ১টি, এয়ারগান ২টি, ২০৫৬ রাউন্ড গুলি, বার বোরের গুলি ৮৮৬, ২২ বোরের রাইফেলের ১১৭০ রাউন্ড গুলিও জমা দিয়েছেন। র‌্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লে: কর্ণেল মশিউর রহমান জুয়েলের (পি.এস.সি) সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জন নিরাপত্তা বিভাগ মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার), র‌্যাব এর অতিরিক্তি ডিজি তোফায়েল সরোয়ার বিপিএম, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশিক উল্লাহ রফিক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App